ছড়া-কবিতা

খেলা ঘর

—মোঃ জালাল উদ্দিন নিষ্ঠুর, নির্দয় বসুমতি আমায় দেখে কেনো তব অট্ট হাসি? বুকের পাঁজরে আশ্রয় দিয়েছি যারে শত অপমান, আঘাত সয়ে সয়ে বিসর্জন দিয়েছি আত্মসুখ চিরতরে; স্বার্থের টানে চলে গেছে সবাই দূরে। স্বার্থ-খ্যাতি-যশ, প্রতিপত্তি সকলি বৃথা বসুমতি! স্বজন-বিজন নহে কেউ আপন বৃথাই গড়েছি এই মায়াময় বসতি!! ছিন্ন হবে এ মায়ার বাধন ভেঙ্গে যাবে বুকের পাঁজর, এ জগত সংসার সকলি বৃথা ...

Read More »

চিঠি

—-মোঃ জালাল উদ্দিন ভিন্ দেশী কত চিঠি আসে আনন্দ-বেদনার বারতা নিয়ে, প্রবাসীরা গেলো স্বদেশে চলে দিলো না একটি চিঠিও আমায় আপন ভেবে। মায়া-মমতা, আনন্দ-বেদনায় কাটিয়েছি একসাথে কত নিশিদিন, অথচ একটিবার গেলো না বলেÑ “চলে যাই, আসবো না কোনদিন।” আমি তো প্রতীক্ষায় থাকি’ ক্ষণে ক্ষণে কাটালাম কত নিশিদিন ওরা আসবে বলে, আসিলো না কেউ দিলো না একটি চিঠিও বুক ভাসালাম বৃথা ...

Read More »

পথ দেখাও

—–মোঃ জালাল উদ্দিন কিসের জন্য এত লেখালেখি? কেনো এত মাখামাখি? আজকের লেখা আগামী দিনের স্মৃতি! তারপর, তারপর একদিন সবি হয়ে যাবে বিলীন, রইবো না কারো মনে হারিয়ে যাবো আমি। যেমনি করে প্রিয়জনেরা মোরে ছেড়ে যুগে যুগে চলে গিয়েছে দূরে কেঁদেছি বহুদিন, বহুরাত কেউ তো আসেনি ফিরে মোর শান্তনার তরে। কেবলই কালের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। এমনি করে আমার ...

Read More »

ঈদ এসেছে

—–জান্নাতুল ফেরদৌসি (নিলু) ঈদ এসেছে ঈদ এসেছে চাঁদ উঠেছে ঐ্ খোকন সোনা কই ? মা-খোঁজে বাবা খোঁজে খোকন সোনা কই ? ভাইয়া বলে আপু বলে ঐ দেখা যায় ঐ। চুপটি করে বসে খোকা ঈদের জামা পড়ে বোকা মা-এল যেই পাশে খিল খিলিয়ে হাসে। দুষ্ট পনা, মিষ্টি পনা সব কিছু তার সৃষ্টি বোনা এই আমাদের খোকান সোনা। জল কে বলে মাম ...

Read More »

খাঁচার পাখি

———মোঃ জালাল উদ্দিন বসন্তে ফুটে ফুল পাখি গায় গান কোকিলের কুহুতানে ভরে হৃদয়-প্রাণ। পূর্ব গগণে রক্ত-রবি জীবনের আহবান, গোধূলী লগ্নে কাঁদে ধরণী যেন জীবনের অবসান। এ পারে আমি বসে আছি আজও কত অপবাদ, দুঃখ-বেদনা নিয়ে! মিছে মোহ-মায়ায় মত্ত রয়েছি তবুও হৃদয়-বীণা কেঁপে উঠে ক্ষণে ক্ষণে। কিসের হারানো ব্যথায় আজি হৃদয় ব্যথাতুর, গুম্রিয়া গুম্রিয়া কাঁদে! খাঁচার পাখিটারে মারছি গলা টিপে তাইÑ ...

Read More »

জগত জননী

—- মোঃ জালাল উদ্দিন মাগো জগত জননী মা আমার তুমি কেনো চলে গেলেÑ লক্ষ কোটি সন্তান এতিম করে! আমরা পাপী অপরাধী বলেই কি মা এমন করে চলে গেলে? তুমি কি জানো না মা-হারা সন্তানের কত দূর্গতি! কত অসহায় ব্যথিত সবায় গুমরিয়া গুমরিয়া কাঁদে বসুমতি!! তোমার বিদায়ে অভিমান করে মা সেদিন দেয়নি রবি কিরণ, পিচ ঢালা পথে এতিম সন্তান মা করেছে ...

Read More »

পাঠকের কিছু অদ্ভুদ প্রশ্ন ?

—জান্নাতুল ফেরদৌসী (নীলু) পাঠকঃ হ্যালো মেডাম ,কেমন আছেন ? লেখিকাঃ হ্যাঁ ভালই আছি। পাঠকঃ মেডাম আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছে ? লেখিকাঃ কি করে দেখলেন ? পাঠকঃ মেডাম, মনের চোখ দিয়ে। পাঠকঃ মেডাম, আপনার গলার কন্ঠসুর খুব মিষ্টি ? লেখিকাঃ কি করে বুঝলেন ? পাঠকঃ মেডাম, আপনার সাথে মোবাইলে কথা হয়ে ছিল। পাঠকঃ মেডাম আপনাকে একটা প্রশ্ন করবো ? লেখিকাঃ ঠিক ...

Read More »

ঠাঁই চাই তব চরণে

—মোঃ জালাল উদ্দিন অনাবাদী, পতিত হৃদয়-ভূমি আমার দখল করে নিয়েছে ছয়জনে। শত চেষ্টা বিফল আমার সাধ্য নেই কভূ তব দয়া বিহনে। রহমত ধরায় তুমি আঁধারে আলো মুক্তির দিশারী তুমি বিপথগামীর। তব আলোয় আলোকিত হলো কত অপরাধীর হৃদয়-মন্দির। বে-দখল আমার পতিত ভূমি হতে বিতাড়িত করো ছয়জনে। অনাবাদী ভূমিতে করো নূরের আবাদ ঠাঁই চাই তব চরণে। ———— প্রেরক : মোঃ জালাল উদ্দিন ...

Read More »

মানুষ ও ফানুস

—- বদরুল বোরহান মানুষকে খুঁজে ফিরি মানুষের মধ্যে, মানুষের কথা নেই গদ্যে ও পদ্যে। আছে শুধু প্রেম-প্রীতি সন্ত্রাস ও দূনীতি পূরাণে ও কাব্যে, মানুষের কথা আজ বলো কেবা ভাববে? খুঁজে খুঁজে হয়রান গাই শুধু জয়গান খাঁটি এক মানুষের, আমরা তো ডুবে আছি ভন্ডের কাছাকাছি রংচটা ফানুসের।

Read More »

বন্ধ হোক সাপলুডু খেলা

–মো.আলী আশরাফ খান লাল-কালো রক্তদাগ চারদিকে আহাজারি কাঁপছে আকাশ-বাতাস, দায়িত্বহীন বড় কথার ফুলঝুরি-নাচানাচি নষ্টরা হৃদয়ে করে রক্ত ক্ষরণ । শ্রমিকের ঘামে বিলাসিতা অতি বেহায়াপনা অট্টালিকা গড়ে নতুন নতুন, সরকারের চাটুকাররাই বড় থেকে বড় হয় স্বপ্ন দেখে অশুভ রঙিন। শ্রমিকের ঘাম-রক্তে ওরা নেশায় বুঁদ বুঁদ নাচায় রুগ্ন স্তন, ভাবলেশহীন যাত্রা বিকৃত তাড়না মেটাতে সেথায় করে গমণ। অগণিত প্রাণের ক্রন্দনে কাঁদে মানবতা ...

Read More »

মুক্তি দিও এ আসামী

—মোঃ জালাল উদ্দিন অন্ধ আমি বন্ধ ঘরে হাবুডুবু খাই, বধির আমি হাজার বাণী শুনতে নাহি পাই। পঙ্গু আমি হাতে-পায়ে চলতে নাহি পারি, তাইতো আমি আঁধার ঘরে ছট্ফট্ করে মরি। বন্ধ ঘরের কপাট খুলে নূরের আলো দাও জ্বালিয়ে, পঙ্গুত্ব মোর দুর করে দাও বধিরতা দাও ঘুচিয়ে। তব দয়ার ঝর্ণা ধারায় সিক্ত হতে চাই যে আমি, যুগের ইমাম দয়ার সাগর মুক্তি দিও ...

Read More »

হিরার বায়না

—-জান্নাতুল ফেরদৌসী (নিলু) হিরা বড় দুষ্ট ছেলে মিষ্টি কথা বলে দুষ্টমিতে সেরা বলে মনটা নিল কেড়ে। হিরার আজকে কিযে হলো ধরেনা সে বায়না কথায় কথায় রেগে বলে আর তো দেরি সয়না। আজকে হিরার কিযে হলো থাকে চুপচাপ ভাইয়া ডাকে আপু ডাকে নেই তো পড়ার চাপ হিরা বড় দুষ্টপনা, মিষ্টিপনা, সব কিছু তার সৃষ্টি বোনা, এই আমাদের হিরা সোনা, হিরা বলে ...

Read More »

ওরা ছয় জন

—–মোঃ জালাল উদ্দিন ওরা ছয়জনে বড় জ্বালাতন করে প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে! আমাকে বাঁচাও প্রভু- শক্তি নেই কভু তব দয়া বিনে। সহজ-সরল পথের কাটা ওরা, সত্য-ন্যায়ের দুশমন; বন্ধুর বেশে- আবেশে জড়ায়ে ধ্বংসে মানব জীবন। ধরা-ছোঁয়ার বাইরে বসি’ হৃদয়-মন্দিরে চালায় আপন কর্ম; বুঝে না মানব বন্ধু ভেবে সব করে পন্ড শ্রম। মহামানবের কাছে অতি তুচ্ছ ওরা নতশিরে হার মানে। অথচ ওরা ছয় ...

Read More »

মায়ের আচঁল

—-জান্নাতুল ফেরদৌসী (নিলু) কেন হাত দিয়ে মুছো তোমার অশ্র“ তোমার পাশে আছে মায়ের আঁচল। মাটির আঁচলে লাগিয়েছ ফুলের চারা দেখ দেখ ফিরে, ফুল গুলো করে ইশারা। কেন গো তোমার চোখে অশ্র“ ধারা বয়, তোমার চোখে কেন বইছে জলাশয়, দু-হাতে মুছো কেন জল? আছে তোমার মায়ের আঁচল। দেখো দেখো তোমার মাটির আঁচলে ফুটেছে কত ফুল। দৌঁড়ে গিয়ে খবর দিলো মাকে ভালোবেসে। ...

Read More »

সাধ

—রাসেল মাহমুদ হৃদয়ের অকৃত্রিম সাধ একদিন তোমায় দেখি সূর্যদয়ে প্রভাত যখন রবির কিরণে অপরুপ সূর্য্রে রং তোমার মুখে বিলীন চোখের পাতায় অর্পুব দ্যুতি আশা একটা নতুন দিন তুমি তখন গ্রীক ভাস্কর লিওনার্দোর বিখ্যাত স্কেচ কিংবা জীবনানন্দের অমর কবিতা। হৃদয়ের অকৃত্রিম সাধ একদিন তোমায় দেখি রৌদ্রজল দুপুরে পৃথিবীর সমস্ত ক্লান্তি তোমার মুখে বিন্দু বিন্দু ঘাম কপাল,নাকে কর্মের মাঝে তুমি ডুবে আছো। ...

Read More »