এবিএম আতিকুর রহমান বাশার : —
দৈনিক যুগান্তরের দেবিদ্বার প্রতিনিধি আক্তার হোসেন’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে’র দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানব বন্ধন করেছে স্থানীয় সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার লোকজন।
রোববার সকাল ১১টায় দেবিদ্বার মুক্তিযুদ্ধ চত্বর’র সামনে সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার’র সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক এটিএম সাইফুল ইসলাম মাসুম’র সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন দেবিদ্বার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী আঃ সামাদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমগীর ভূইয়া, সাংবাদিক সৈয়দ খলিলুর রহমান বাবুল, মাইটিভি জেলা প্রতিনিধি সাইফ উদ্দিন রনী, একেএম মিজানুর রহমান কাউছার, মোঃ এনামুল হক, হাজী মামুনুর রশীদ, এসএম মাসুদ রানা, ফখরুল ইসলাম সাগর, এমএ হালিম, ওমর ফারুক সরকার, শাহীন আলম, মোহাম্মদ আলী সুমন, এআর আহম্মেদ হোসাইন, দেবিদ্বার হাসপাতাল মালিক সমিতির সভাপতি হাফেজ মেজবাহ উদ্দিন খোকন, সহ-সভাপতি আঃ আলীম, জাতীয় পার্টির দেবিদ্বার উপজেলা সভাপতি ডা. ফিরোজ আহম্মেদ, সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান, আ’লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান আমীন, মোঃ মনিরুল ইসলাম, আজিজুর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, শিশু মাতৃ হসপিটালের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মোমেন সুমন প্রমুখ।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।
উল্লেখ্য গত ২১ নভেম্বর কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শরীরচর্চা শিক্ষক বর্তমানে নারী কেলেঙ্কারীর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে প্রায় ৬মাস ধরে বরখাস্তে থাকা মোঃ রবিউল হাসান দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার দেবিদ্বার প্রতিনিধি মোঃ আক্তার হোসেন’র বিরুদ্ধে একলক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ এনে ওই মামলা দায়ের করেছেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সারাদেশেই সাংবাদিকরা নানাভাবে হামলা-নির্যাতন-মিথ্যা মামলা ও হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। দেবিদ্বারের সাংবাদিক আক্তার হোসেন’র ক্ষেত্রেও তার ব্যতয় ঘটেনি। দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শরীরচর্চা শিক্ষক মোঃ রবিউল হাসান বর্তমানে নারী কেলেঙ্কারীর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে এবং তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে উক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি সাবেক মন্ত্রী এএফএম ফখরুল ইসলাম মূন্সীর নির্দেশে প্রায় ৬মাস ধরে বরখাস্তে থাকা অবস্থায়ও বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের তাগিদে সাংবাদিক আক্তার হোসেন সংবাদ সংগ্রহে তৎপর হন। ওই ঘটনায় আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ হয়েই উক্ত শিক্ষক আক্তারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমরা অনতিবিলম্বে উক্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি।