মো. হাবিবুর রহমান :–
কুমিল্লার মুরাদনগরে ‘লাঠিয়ার বিল’ দখল নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ২০মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা দড়িকান্দির ‘লাঠিয়ার বিল’ দখল নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার দুপুরে পুলিশ ৪ জনকে কুমিল্লার কোর্ট হাজতে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারো পাঁচকিত্তা দড়িকান্দির ‘লাঠিয়ার বিল’ দখল নিয়ে শরিফ হোসেন ও রেনু মিয়ার গ্রুপের মধ্যে রোববার সকাল অনুমান সাড়ে ৯টায় দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আধিপত্য বিস্তার, হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষরা শরীফ হোসেনের বাড়ি-ঘরের দরজা, জানালা, আসবাবপত্র ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধনসহ ৮৫ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নেয়। উক্ত ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন নারী-পুরুষ আহত হয়। তখন হামলাকারী ৪ জনকে আটকে রেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। পরে মুরাদনগর থানা পুলিশের এসআই বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত পরিবেশ শান্ত করে এবং আটকৃতদের ধরে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় শরীফ হোসেন বাদী হয়ে রোববার দুপুরে রেনু মিয়াসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা করে। ওই মামলায় ধনেরকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে শাহ আলী (৪০), জুরু মিয়ার ছেলে নূরুল ইসলাম (৩০), পাথালিয়াকান্দি গ্রামের কদম আলীরে ছেলে আব্দুল করিম (৫০) ও কাচারিকান্দি গ্রামের মৃত মঙ্গল মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন (৫০)। আটককৃতদের সোমবার দুপুরে কোর্ট হাজতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদেরকে কুমিল্লার কেন্দ্রিয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ দিকে গুরতর আহত মুনাফ মিয়া, আবুল হাশেম ও মোহাম্মদ আলীকে চিকিৎসার জন্য মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে আবারো বড় ধরণের সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
মুরাদনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। ৪ জনকে আটক করে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।