দেবিদ্বার প্রতিনিধিঃ—
সনাতন হিন্দু ধর্মের প্রবক্তা শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শনিবার সকালে দেবিদ্বার পূজা উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ সেবাশ্রম যুব সংঘের উদ্যোগে পৃথক পৃথক ভাবে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।
সকাল ১০ টায় দেবিদ্বারে পূজা উদযাপন কমিটি উদ্যোগে দেবিদ্বার কেন্দ্রীয় কালি মন্দির প্রাঙ্গনে আলোচনা সভায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা নেপাল চন্দ্র রায়’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দেবিদ্বার পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক রবীন্দ্র চন্দ পাল, সদস্য সচিব বাবু মানিক চক্রবর্তী, ননী গোপাল শিব, অধ্যাপক বিমল চন্দ্র দত্ত, অধ্যাপক শিমুল চন্দ্র সাহা, সুনিল চন্দ্র পাল, প্রদীপ চন্দ্র দে, রবীন্দ্র চন্দ্র ঘোষ, সুনিল চন্দ্র দত্ত, সুকেন সরকার ও ছাত্রলীগ নেতা সয়ন দাস প্রমুখ। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়।
অপর দিকে বাংলাদেশ সেবাশ্রম যুব সংঘ দেবিদ্বার শাখার উদ্যোগে সকাল ১০টায় একটি বিশাল শোভাযাত্রা উপজেলার প্রদান প্রদান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দেবিদ্বার হাসপাতাল রোডস্থ প্রার্থনালয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই আলোচনা সভায় বাংলাদেশ সেবাশ্রম যুব সংঘ দেবিদ্বার শাখার সভাপতি বিধু ভূষন নন্দী’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারন সম্পাদক বিকশ চন্দ্র দাস, অমর দাস, সেবাশ্রম যুব সংঘ দেবিদ্বার শাখার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রিপন চন্দ্র দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জিত কুমার দে, দেব ব্রত ধর পিন্টু, বিনোদ সরকার, সুমন দাস, আশিষ দাস, প্রণব দাস, বিশ^জিৎ নন্দী ও দেব রায় সূত্রধর প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, দ্বাপর যুগের শেষ দিকে এই মহাপুণ্য তিথিতে মথুরা নগরীতে অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে বন্দী দেবকী ও বাসুদেবের বেদনাহত ক্রোড়ে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সনাতন ধর্মানুসারে, অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করতেই এ পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। শান্তিহীন পৃথিবীতে শান্তি আনতেই শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব। হিন্দু ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় গ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবদগীতার উদগাতা শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপর যুগের বিশৃঙ্খল ও অবক্ষয়িত মূল্যবোধের সময়ে পৃথিবীতে মানবপ্রেমের অমিত বাণী প্রচার ও প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। পরমাত্মার সাথে জীবাত্মার মিলনই সেই বাণীর মূল বিষয়। তাই তিনি ভক্ত ও বিশ্বাসীদের কাছে প্রেমাবতার। বক্তরা এ শুভদিনে সবার সুখ, শান্তি ও দেশবাসীর সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।
