মো : জাকির হোসেন :—
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার হরিপুর গ্রামে মায়ের পরকিয়ায় কথা প্রবাসী বাবাকে ফোনে জানিয়ে দেয়ায় মায়ের নির্যাতন সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে স্বর্ণালী আক্তার নামে এক মেয়ের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয়দের দাবী পরকিয়া প্রেমিকের সহায়তার মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী সুলতান আহাম্মদের স্ত্রী পারুল বেগম (৩৫) স্বামীর অবর্তমানে একই বাড়ীর সৎ দেবর রবিউল হোসেন (২৮) এর সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়। কিছুদিন ধরে পরকিয়ার ঘটনাটি এলাকার লোকমূখে চলে আসে। সম্প্রতি মায়ের পরকিয়ার ঘটনাটি বড় মেয়ে স্বর্ণালী আক্তার (২০) নিজ চোখে দেখতে পেয়ে সৌদি আরব প্রবাসী তার বাবাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায়। এতে প্রবাসী সুলতান আহাম্মদ তার স্ত্রীকে শাসন করলে স্ত্রী পারুল বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েকে মারধর করে। এনিয়ে গত কয়েক দিন ধরে মা মেয়ের মধ্যে মনমালণ্য চলতে থাকে। স্থানীয়রা আরো জানায়, গত রোববার সন্ধ্যা রাতে এ ঘটনা নিয়ে মা মেয়ের মধ্যে কথা কাটা-কাটি থেকে হাতা-হাতি পর্যন্ত হয়। পরে রোববার দিবগত রাত ২ টায় পরিবারের অন্য সদস্যদের আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী তাদের বাড়ীতে এসে ঘরের মধ্যে স্বর্ণালী আক্তারের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে বাড়ীর লোকজন পুলিশে খবর দিয়ে বুড়িচং থানার এস আই ইমাম হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স সহ সোমবার সকালে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে কুমিল্লা মর্গে পেরণ করে। নিতহ স্বর্ণালী আক্তারের ১ বছর পূর্বে বি-বাড়ীয়া জেলার কসবা উপজেলার মদলা গ্রামের জনৈক রফিকুল ইসলাম রিপনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বর্ণালী আক্তার তার বাবার বাড়ীতে থাকতো। এদিকে ঘটনার পর থেকে পরকিয়া প্রেমিক রবিউল হোসেন পলাতক রয়েছে। এবিষয়ে বুড়িচং থানার এস আই ইমাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সোরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও নিহতের সৌদি প্রবাসী বাবার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে পরকিয়ার বিষয়টি জানা গেছে। লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
