মো.জাকির হোসেন :–
দেশের প্রধান ব্যস্ততম জাতীয় মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের দাউদকান্দি থেকে চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত সড়ক জুড়ে খানা-খন্দক। ঈদুল ফিতরের পূর্বে ও পরে দু’দফায় জনগণের ভোগান্তি লাঘবে মহাসড়কের সংস্কারের পরও অল্প ক’দিনের মধ্যেই অবস্থা আগের মতো। আবারো খানা-খন্দকে ভরে মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আর মহাসড়কের সংস্কারে পাথরের পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে নি¤œমানের ইট-খোয়া।
মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ঘুরে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, জনগনের দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে গত ঈদুল ফিতরের আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে খানা-খন্দক সংস্কার করে।
মহাসড়কটি নির্মানে পাথর ব্যবহার করলেও অজ্ঞাত কারনে এর খানা-খন্দক সংস্কারে নিম্নমানের ইট-খোয়া ব্যবহার করে। এতে অল্প সময়ের মধ্যে সেগুলো উঠে যায়। ফলে কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও যাত্রীদের দুর্ভোগ কমছে না।
যানবাহনের চালকদের সাথে কথা বলে জানাযায়, সংস্কারের নামে খানা খন্দকে নি¤œমানের ইট-খোয়া ফেলে নামমাত্র বিটুমিন দিয়ে কাজ করায় দু’একদিনে সেগুলো উঠে যায়।
এক তথ্যমতে মহাসড়কে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ থেকে ২২ হাজার যানবাহন চলাচল করে। এর মাঝে বহু যানবাহন রয়েছে যেগুলো ৪০ থেকে ৫০ টনেরও বেশী ওজনের মালামাল বহন করে। মাত্রাতিরিক্ত ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে রাস্তার পাথর ওঠে যাচ্ছে। ওই সকল স্থানে পরিত্যক্ত ইটের খোয়া দিয়ে সংস্কার কতোটা যুক্তিযুক্ত তা’ই প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের চৌদ্দগ্রাম, মিয়াবাজার, নালবাগ, সুয়াগাজী, হৈট্টাল চৌমুহনী, মোস্তাপুর, পদুয়ারবাজার, বেলতলী, কোটবাড়ি রাস্তার মাথা, ঝাগুড়ঝুলি, আলেখারচর, আমতলী, নিশ্চিন্তপুর, মযনামতি সেনানিবাস, নাজিরাবাজার, কালাকচুয়া, ডাকলাপাড়া, সৈয়দপুর, কাবিলা, নিমসার, কোরপাই, মেইল গেট, গোবিন্দপুর, কাঠেরপুল, বাগুড়, নুরীতলা, মাধাইয়া, নাওতলা, ইলিয়টগঞ্জ, রায়পুর, গৌরীপুর, শহীদনগর, দাউদকান্দি বিশ্বরোড এলাকায় বর্তমানে অসংখ্য খানা-খন্দক। এসকল খানা-খন্দক দিয়ে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মহাসড়কের নির্মান কাজে পাথরের ব্যবহার হলেও সংস্কার কাজে কেন ইট-খোয়া ব্যবহার হয় এই বিষয়টি যানতে চাইলে মহাসড়কের চারলেন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মাসুদ সারওয়ার জানান, মহাসড়কের সংস্কার কাজ মূলত রাস্তা স্বচল রাখার একটি প্রক্রিয়া। এর দায়িত্বে আছে রেজা কস্ট্রাকশন। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সুতরাং এটি কয়বার সংস্কার হয়েছে কিংবা কতো টাকা বরাদ্ধ এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর বেশ কঠিণ সাধ্য। কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চৌদ্দগ্রাম পযন্ত যখনই যেখানে সংস্কারের প্রয়োজন দেখাদেবে রেজাকন্ট্রাকশন সেখানেই সংস্কার করবে।
প্রকৌশলী মো: মাসুদ সারওয়ার বলেন, চারলেন প্রকল্পের লয়ার সাব বেইজে (নীচের স্তরে) খোয়া ব্যবহারের নিদেশনা থাকলেও প্রকত পক্ষে ভালো মানের ইট সংকটের দরুণ সেখানেও ইটের খোয় ব্যবহার হরা যাচ্ছে না, পাথরই দেয়া হচ্ছে।
