কুবি প্রতিনিধিঃ–
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়ে চলে রাত ১২ টা পর্যন্ত। দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলি বর্ষনের ঘটনায় পুরো কুবি ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, কুবির কাজী নজরুল ইসলাম হল ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের পার্শ্ববর্তী সড়কের ইউনিক মোড় নামক স্থানে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে সভাপতি সমর্থিত ছাত্রলীগ কর্মী তানভীর হোসেনের সাথে সাধারণ সম্পাদক সমর্থীত কর্মী শাহজাহান প্রীন্সের বাকবিতা-া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আলিফ নিয়ন্ত্রিত কাজী নজরুল ইসলাম হলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী নিয়ন্ত্রিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। মারাত্মক আহতরা হচ্ছে সভাপতি সমর্থীত ছাত্রলীগ কর্মী তানভীর হোসেন, মেজবাহ ও সাধারণ সম্পাদক সমর্থীত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, মাসুদুর রহমান, তানভীর আহমেদ ও এ কে আজাদ। এদের মধ্যে এ কে আজাদ পায়ে ও মেজবাহর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। অন্যরা ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের কুমেক হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে কুবির ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী বলেন, ‘সভাপতি সমর্থিত নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা করে ৫ থেকে ৬ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে। তাদের হামলায় আমার ৬/৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’ অপর দিকে ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান আলিফ জানান, ‘আমরা কোনো গুলিবর্ষণ করিনি। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মোহাম্মদ আইনুল হক বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে কুবি প্রশাসন রবিবার বিবদমান ছাত্র নেতাদের সাথে জরুরী বৈঠক করার কথা রয়েছে।