চট্টগ্রাম :–
দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছর সফলতার সাথে অপারেশনাল কর্মকান্ড পরিচালনার পর নৌ বহর হতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তেলবাহী জাহাজ খান জাহান আলীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডি-কমিশনিং করা হয়েছে। আজ সোমবার চট্টগ্রাম নৌ জেটিতে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল রিয়ার এডমিরাল আখতার হাবীব, এনজিপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি নৌবাহিনীর ঐতিহ্যবাহী রীতিতে জাহাজটিকে নৌ বহর হতে ডি-কমিশনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। এসময় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণসহ বিপুল সংখ্যক নাবিক উপস্থিত ছিলেন।
১৯৮৭ সালের ১৪ জুলাই বানৌজা খান জাহান আলী বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ফ্লিট ওয়েল ট্যাংকার হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। তৎকালীন নৌবাহিনী প্রধান জাহাজটিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশনিং করেন। জাপানের সেটোডা ডকইয়ার্ডে নির্মিত জাহাজটি প্রথমে বিআইডব্লিউটিএ ক্রয় করে এবং পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে জাহাজটিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। নৌবাহিনীতে অর্ন্তভূক্তির পর থেকে জাহাজটি মূলত পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ওয়েল কোম্পানী হতে তেল সংগ্রহ করে নৌবাহিনীর জাহাজসমূহে সরবরাহ করে আসছিল। এছাড়াও জাহাজটি অপারেশন প্রতিরোধ, ট্রেজার শীল্ড, টেকএক্স, এক্সারসাইজ সী-থান্ডারসহ বিভিন্ন সমুদ্র মহড়ায় সফলভাবে অংশগ্রহণ করে। নৌবাহিনীর বৃহৎ এই ওয়েল ট্যাংকারটি ২৬ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮৮২ লিটার তেল এবং ১ হাজার ৬০০ টন পানি ধারণ ও বহনে সক্ষম ছিল। জাহাজটি সমুদ্রে বিভিন্ন মহড়া চলাকালীন নৌবাহিনীর জাহাজসমুহে তেল ও পানি সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাম্প্রতিককালে অপারেশনাল সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার প্রেক্ষিতে জাহাজটিকে নৌবহর হতে ডি-কমিশন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত আর একটি ওয়েল ট্যাংকার একই নামে শীঘ্রই নৌবাহিনীতে যুক্ত হতে যাচ্ছে।