কুমিল্লা প্রতিনিধি :–
কুমিল্লায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির চেষ্টাকালে ডিবি পুলিশের সাথে ডাকাত দলের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুল কাদের নামের আন্ত:জেলা ডাকাত দলের এক সদস্য নিহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ ৮ ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে। শনিবার ভোর রাতে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার পেরুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়কের জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার পেরুল এলাকায় ১০/১২ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল সড়কে নোয়াখালীগামী ১টি যাত্রীবাহী বাস ডাকাতির চেষ্টা করে। এ সময় যাত্রীদের চিৎকারে করলে এ সময় ওই সড়কে টহলরত জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই শাহ কামাল আকন্দ ও এসআই সহিদুল ইসলাম, এস.আই আদিল মাহমুদ সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডাকাতদল তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় ডিবি পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাকাত আবদুল কাদের (৩৫) মারাত্মক আহত হলে তাকে কুমেক হাসপাতালে নেয়ার পর যাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ওই ডাকাত জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ভড়নীখন্ড গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের পুত্র। এসময় ডিবি’র এসআই শাহ্ কামাল আকন্দ, এএসআই মাহফুজুর রহমান, কনস্টেবল স্বপন কুমার দেসহ ৩ পুলিশ আহত হন এবং ডাকাতদের মধ্যে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন নেয়ামত উল্লাহ, সৌরভ ও জাহাঙ্গীর। আহতরা কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ আন্ত:জেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার গোয়ালিয়ারা গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের পুত্র নেয়ামত উল্লাহ (৩৪), দিশাবন্দ গ্রামের সৈয়দ আহমেদের পুত্র সহিদুল ইসলাম (৩৫), একই গ্রামের নজির আহমেদের পুত্র জামাল উদ্দিন (২৫), আরব আলীর পুত্র সৌরভ চৌধুরী (১৮), তাহেরপুর গ্রামের সামছুল হক মোল্লার পুত্র জুয়েল (২০), একই গ্রামের আবদুল মতিনের পুত্র বাবলু (৩০), চাঁদপুর জেলা সদরের ষোলঘর গ্রামের বিলাল গাজীর পুত্র জাহাঙ্গীর গাজীকে (৩০) ও কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার খৈচাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র নোমান মিয়াকে (২৯) আটক করা হয়। এ বিষয়ে ডিবির এসআই মো. শাহ্ কামাল আকন্দ জানান, এ ডাকাত দলটি দীর্ঘ দিন যাবৎ মহাসড়কসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল, তাদের গ্রেফতারে ডিবির একাধিক টিম বেশ কিছু দিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। নিহত ডাকাত আবদুল কাদেরের বিরুদ্ধে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন থানায় ৯টি ডাকাতির মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মাইক্রোবাস, ৩টি এলজি, ১টি শর্টগান, ৩টি ছুরি, ৫ রাউন্ড গুলি ও মুঁখোশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অস্ত্র, ডাকাতির চেষ্টা ও হত্যার ঘটনায় সদর দক্ষিণ মডেল থানায় পৃথক ৩টি মামলা হয়েছে।