আকবর হোসেন, মনোহরগঞ্জ প্রতিনিধি:–
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের খরখরিয়া গ্রামে গতকাল সোমবার সকালে বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় মোহছেনা আক্তার মনি (২০) নামে এক গৃহবধু গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। জানা যায়, খরখরিয়া গ্রামের মুন্সি বাড়ির মোঃ মুসলিম মিয়ার কন্যা মোহছেনা আক্তার মনি ঘটনার দিন সকাল ১১টার দিকে নিজ ঘরের আড়ার সাথে রশি বেঁধে আত্মহত্যা করেন। এ সময় তার বাড়ির পাশ্ববর্তী এক ব্যক্তি টের পেয়ে বাড়ির লোকজন সহ ঘরের দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢুকে দেখতে পায় সে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত। নিহত মোহছেনা আক্তার মনির মা রোকেয়া বেগম ও বাবা মুসলিম মিয়া জানান, দীর্ঘদিন দুই বছর আগে আমার মেয়েকে চাঁদপুর জেলার আমির হোসেন নামে এক ব্যক্তির সাথে বিয়ে দেই। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর তার স্বামী তাকে আমাদের বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে আমির হোসেন মাঝে মধ্যে আমাদের ঘরে থাকা মোবাইলে মনির সাথে কথা বলত। মাঝে মাঝে দুই জনের মধ্যে কথার কাটাকাটি হতো। ঘটনার দিন সকালে অজ্ঞাত এক মোবাইল নাম্বারে তার স্বামী ফোন দেয়। ফোনে কথা বলার পর আমরা দুইজন অন্যের বাড়িতে কাজ করার জন্য চলে যাই। হঠাৎ করে লোকজন দৌড়ে এসে আমাদেরকে বলে, আমার মেয়ে মনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়ের সাথে আমাদের কোন ঝগড়া বিবাদ বা আমরা আমাদের মেয়েকে কিছুই বলিনি। আমাদের ভালো মেয়ে ঘরে রেখে গিয়েছি। কিন্তু বাড়িতে এসে দেখি সে মৃত লাশ হয়ে আছে। আমার মেয়ে ঘরে একাই ছিল। আমাদের ঘরে আর কেউ ছিল না। তবে আমাদের মেয়ে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা আমরা কিছুই জানি না। যে মোবাইলটি থেকে ফোন এসেছে সে মোবাইলটির কললিষ্টে কোন নাম্বার পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে মনোহরগঞ্জ থানার এসআই আল আমিন ও সঙ্গীয় ফোর্স নিহতের বাড়িতে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা মুসলিম মিয়া বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। মনোহরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আগামীকাল (আজ) লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে।
