মনোহরগঞ্জের হাটে-বাজারে বিক্রি হচ্ছে বিষাক্ত কার্বাইড মিশ্রিত কলা : বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ

আকবর হোসেন, মনোহরগঞ্জ প্রতিনিধি:–
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে বিষাক্ত কার্বাইড মিশ্রিত বিভিন্ন ধরনের কলা। স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি থাকা সত্ত্বেও কিছুতেই দমছে না বিক্রেতাদের বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত কলা বিক্রি। স্থানীয় প্রশাসনের ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকলেও দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক এ কলা বিক্রি বেড়েই চলেছে। অথচ বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত কলা খেয়ে নানাহ রোগের ঝুকিতে পড়েছে এ উপজেলার মানুষ। জানা যায়, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের হাটে-বাজারে বিক্রি করতে আনা বিভিন্ন জাতের কলায় মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত কার্বাইডসহ বিভিন্ন মেডিসিন। আর এ সব মেডিসিন মেশানো কলা খেয়ে সাধারণ মানুষ ক্রমেই মৃত্যুর দিকে ঝুকে পড়ছে। উপজেলা সর্বত্র ফল-মূলে বিশেষ করে কলায় এ ধরনের বিষাক্ত মেডিসিন ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। কলার সকল আড়ৎগুলোতে চলছে মেডিসিন মেশানো কলা বিক্রির হিড়িক। এ উপজেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কাঁচা কলা এনে বিভিন্ন কৌশলে পাকানো হচ্ছে আড়ৎগুলোতে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানায়, মৌসুমে এ কলা সম্পূর্ণ পুষ্ট হওয়ার আগেই গাছ থেকে সংগ্রহ করে কলা পাইকারী আড়ৎদাররা। পরে বিভিন্ন মেডিসিনের সাথে হালকা পানি মিশ্রন করে তা কাঁচা কলার উপর ছিটিয়ে দিলে ৪/৫ ঘন্টার মধ্যে কলার সবুজ রং পরিবর্তিত হয়ে হলুদ কিংবা লালচে রং হয়ে যায়। এছাড়া কলার বড় বড় স্তুপে ছালার বস্তা দিয়ে ঝাঁক কিংবা কার্বাইড মিশ্রিত আগুনের ধোঁয়া দিয়ে কলা পাকানো হচ্ছে। এ ধরনের কলার চাকচিক্য সৌন্দর্য দেখে সাধারণ ক্রেতারা তা কিনে খাচ্ছেন অনায়াসে। উপজেলার একটি বাজারের জৈনক কলা বিক্রেতা জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কলার পাশাপাশি বিভিন্ন ফুল-মূলও একই পদ্ধতিতে পাকিয়ে বিক্রি করা হয়। আবার অনেক ফল ব্যবসায়ী তা অস্বীকার করে ভিন্ন পদ্ধতির কথা বলছেন। স্থানীয় চিকিৎসকরা এসব মেডিসিন মিশ্রিত কলা সহ ফল-মূল খেলে মানব দেহের লিভার, ক্যান্সার, কিডনি ও দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দপ্তরের কর্মকর্তারা রহস্যজনক কারণে ঐসব দেখেও না দেখার ভান করে যাচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে বেশ কিছু ফলের আড়ৎ এবং দোকান গড়ে উঠলেও সড়কের দুই পাশের ফুটপাতে বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত পাকানো কলাসহ বিভিন্ন ফল-মূল বিক্রি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের সাথে বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ সহ বিতর্কিত ভূমিকার জন্য এলাকার জনমতে নানাহ কানাঘুষা হচ্ছে।

Check Also

দাউদকান্দিতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

হোসাইন মোহাম্মদ দিদার :কুমিল্লার দাউদকান্দিতে শান্তা বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ...