মোঃ আক্তার হোসেন :–
“দেবিদ্বারে ইউআরসি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ” শিরোনামে গত ৪ আগষ্ঠ একটি জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ওই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মাওলা ও অফিস সহকারী/ডাটা এন্টি অপারেটর মোঃ শাহ আলম’র বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে লিখিত অভিযোগকারী ৮০ জন শিক্ষক ছাড়াও তদন্ত কর্মকর্তার নিকট স্বাক্ষ্য প্রদানের জন্য অনেক শিক্ষক উপস্থিত হয়েছেন । এ সময় সকল শিক্ষকদের মৌখিক স্বাক্ষ্য গ্রহন ছাড়াও লিখিত স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। তদন্তের শুরুতেই অর্থ কেলেঙ্কারির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি অফিসার উত্তম কুমার কবিরাজ।
উল্লেখ্য দেবিদ্বার উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের মাধ্যমে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষন গ্রহন করে থাকেন। আর এ সকল প্রশিক্ষণের জন্য সরকার নিয়মিত প্রশিক্ষন ভাতাও প্রদান করে থাকেন। দেবিদ্বার উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মোঃ গোলাম মাওলা ও অফিস সহকারী/ডাটা এন্টি অপারেটর মোঃ শাহ আলম উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষক এবং প্রশিক্ষকদের বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ভাতা থেকে সরকারী ভ্যাট প্রদানের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা কর্তন করে তা আতœসাৎ করেন। প্রশিক্ষণের সময় প্রশিক্ষণার্থীদের নিম্ন মানের ব্যাগ সরবরাহ করার মধ্যদিয়েও লক্ষ লক্ষ টাকা আত্বসাৎ করে যাচ্ছেন ওই দূর্নীতিবাজ ইন্সট্রাক্টর ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। আর এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ও দৈনিক যুগান্তরে সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষথেকে উপজেলা কৃষি অফিসার উত্তম কুমার কবিরাজকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করা হলে তিনি এ তদন্ত শুরু করেছেন।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি অফিসার উত্তম কুমার কবিরাজ কুমিল্লাওয়েব ডটকমকে জানান, তদন্তে অভিযোগকারী শিক্ষকদের ছাড়াও অনেক শিক্ষকদের স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হলে এতে অভিযোগের সত্যতার প্রমান পাওয়া যায় এবং অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তাদেরও লিখিত জবাব গ্রহন করা হয়েছে। তবে তদন্তে অর্থ কেলেঙ্কারীর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
