আকবর হোসেন, মনোহরগঞ্জ প্রতিনিধি:–
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রামের অব: সেনা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিনুল হক গত শুক্রবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের সময় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি —— রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। শনিবার বিকাল ৫টায় তার নিজ বাড়ির প্রাঙ্গনে জানাযা নামায পূর্বক তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান পান্না ও মনোহরগঞ্জ থানার পুলিশ গার্ড অব অনার প্রদান করেন । পরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। তারপর অব: এই সেনা সদস্যকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে আগত ক্যাপ্টেন শরীফের নেতৃত্বে একদল সেনাবাহিনী। পরে সেনাপ্রধানের পক্ষ থেকে তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। তারপর তার সন্তাদের হাতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়। মুক্তিকামী এই বীর সেনানীকে শেষ বিদায় জানাতে তার জানাযার নামাযে শরীক হন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আবদুল আজিজ,মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ভূঁইয়া, উপজেলা সহ-কমান্ডার সাংগঠনিক বদিউজ্জামান মজুমদার, সহ কমান্ডার দপ্তর মো: এনায়েত উল্লাহ, সহ কমান্ডার পাঠাগার দুলাল ভূঁইয়া,হাসনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মুনাফ, হাসনাবাদ ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুবেদার সোনা মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার শাহজাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহরম আলী, আবদুস সালাম, হারুনুর রশিদ ভূইয়া, মাস্টার আবুল বাশার, ডা. এবিএম মোক্তার হোসেন, মাস্টার ইউছুফ জামান, মো এনামুল হক, হাসনাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক হাজী নুরুল ইসলাম(অব. পুলিশ পরিদর্শক), আওয়ামীলীগ নেতা লায়ন গাজী গোলাম সারওয়ার, মোস্তফা কামাল মোহাম্মদ আলী, আবুল কালাম, মনির আহম্মদ , দেলোয়ার হোসেন, শামছুল আলম মেম্বার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মোখতার হোসেন সুমন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ, হাসনাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, হাসনাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন অপু, সহ সভাপতি আবুল কালাম শিফন, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সহ এলাকার সর্বস্তরের জনগণ। এছাড়া তার মৃত্যুতে সামাজিক, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, স্বজন-শুভাকাঙ্খী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। উল্লেখ্য তিনি হাসনাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোক্তার হোসেন সোহেলের পিতা।
