নাজমুল করিম ফারুক :–
কুমিল্লার তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেডিওগ্রাফারের অভাবে ৫ বছর যাবৎ আলোর মুখ দেখে না এক্সরে মেশিন। ফলে মূল্যবান এ এক্সরে মেশিনটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে সাধারণ
রোগীরা যে সেবা পাওয়ার কথা ছিল তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের মার্চ মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে মেশিনটি স্থাপন করা হয়। নামেমাত্র ২/১ জনকে রেডিওগ্রাফার হিসাবে নিয়োগ দিলেও পরবর্তীতে তারা দ্রুত অন্যত্র বদলি হয়ে যায়। ২০১৩ সালের জুন মাসে মোঃ শাহনেওয়াজ নামে একটি রেডিওগ্রাফার নিয়োগ দেয়া হলেও তিনি ঐ বছর আগষ্ট মাসের বেতন নিয়ে অন্যত্র বদলী হয়ে যাওয়ার পর আর কোন রেডিওগ্রাফার নিয়োগ দেয়া হয়নি। অথচ উপজেলার গৌরীপুর-হোমনা সড়ক একটি জনগুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। যেখানে প্রায় ৭ শতাধিকের উপরের সিএনজি ও বিভিন্ন যানবাহন চলে। গড়ে প্রতিদিন একটি দুর্ঘটনা ঘটনায় অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর হাড়ভাঙ্গা, মেরুদণ্ড ও শরীরের বিভিন্ন সমস্যাজনিত কারণে তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হয়। রেডিওগ্রাফারের অভাবে ভূক্তভোগী রোগীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। জনগুরুত্বপূর্ণ এ এক্সরে মেশিনটি সচল না থাকায় রোগীরা বাধ্য হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অতিরিক্ত টাকা অর্থ্যাৎ ৭০ টাকার এক্সরে ৩০০/৪০০ টাকা দিয়ে এক্সরে করাতে হচ্ছে। ফলে ভূক্তভোগীদের রোগীদের অতিরিক্ত অর্থ ও সময় দুটিই ব্যয় হচেছ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ মফিজউদ্দিন আহম্মেদ জানান, রেডিওগ্রাফার নিয়োগ না থাকায় দীর্ঘদিন পড়ে থাকা এক্সরে মেশিনটির সচল যন্ত্রাংশ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। রেডিওগ্রাফার নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।
