চান্দিনা প্রতিনিধি :–
কুমিল্লার চান্দিনায় যৌতুকের কারণে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন আয়েশা আক্তার (২০) নামের এক নববধূকে নির্যাতনে হত্যা করেছে। ঘরের ভেতর লাশ ঝুলিয়ে রেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে তারা। পুলিশ বুধবার দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। চান্দিনা উপজেলার সুহিলপুুর ইউনিয়নের শালিখা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত আয়েশা আক্তার চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার অতিশ্বর গ্রামের মৃত আবু তাহেরের মেয়ে। সে এ বছর নারায়ণগঞ্জের তুলারাম সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।
নিহতের মামা আবদুল কুদ্দুস মজুমদার জানান, নিহতের স্বামী পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী ছিল, তাই বিয়ের পর থেকেই সে টাকার জন্য আয়েশাকে নির্যাতন করত। আয়েশাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। নিহতের ভাই জামাল হোসেন জানান, এপ্রিল মাসে তার বোন আয়েশা আক্তারের সঙ্গে চান্দিনার শালিখা গ্রামের আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার ছেলে আবদুল কাইয়ুমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবি করে আসছিল স্বামী কাইয়ুম। আসন্ন ঈদে উপলক্ষে কাইয়ুম আবারও যৌতুক দাবি করায় আয়েশার পরিবার কিছু নতুন পোশাক দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার সকালে কাইয়ুম আয়েশাকে মারধর করে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। নিহতের বোন ফাতেমা আক্তার জানান, মঙ্গলবার রাতেও স্বামী কাইয়ুম তাকে মারধর করে। আয়েশা মোবাইল ফোনে তাকে বলে, বোন আমাকে বাঁচান, আমাকে মেরে ফেলা হবে, আমি বাঁচতে চাই। তারপর থেকে আর তাকে ফোনে না পেয়ে সকালে আমরা শালিখা গ্রামে তার বাড়িতে এসে দেখি বাড়িতে কেউ নেই। আয়শাকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে স্বামীসহ ঘরের লোকজন পালিয়েছে। চান্দিনা থানার ওসি রসুল আহমেদ নিজামী জানান, বুধবার দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ কুমেক হাসপাতালের মর্গে নিহতের ময়নাতদন্ত করা হবে।