নাজমুল করিম ফারুক :–
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মাছিমপুর থেকে জাহাপুর পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এ সড়কে চলাচল করতে জনগণকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
মাছিমপুর বাজার থেকে জাহাপুর ভায়া কলাকান্দি বাজার পর্যন্ত সাড়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ভেঙে মাটি সরে গেছে। ফলে রাস্তায় চলাচলরত সিএনজি, রিকশা ও ট্রলি প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচেছ। রাস্তাটি কম প্রস্থ হওয়ায় দুটি গাড়ি এক সঙ্গে পার হতে পারে না। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সড়কে চলাচলাকারী যানবাহনের চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া হাতিয়ে নিচেছ।
কলাকান্দি বাজারের ব্যবসায়ী আঃ হালিম, মাছিমপুর আর আর ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ইমরান হোসেন ও কাউছার আহম্মেদ জানান, রাস্তাটি গত ২০১২ সালের মাঝমাঝি সময়ে সংস্কার করা হলেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় তা ব্যাপকভাবে ভেঙে যাচ্ছে। রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় বাঞ্ছারামপুর, বাখরাবাদ, মুরাদনগরসহ তিতাস উপজেলার কলাকান্দি ও ভিটিকান্দি ইউনিয়নের সাধারণ জনগণের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, মাছিমপুর বাজার থেকে জাহাপুর ভায়া কলাকান্দি বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ। ২০১২ সালে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হলে স্থানীয় জোবায়েদ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এর দায়িত্ব পান। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি সংস্কার কাজ শুরু করতে গাফালতি করলে উপজেলা এলজিইডি অফিস ও কুমিল্লা এলজিইডি অফিস থেকে তাগাদাপত্র দেয়া হয়। তারপর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দায়সারা ভাবে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে শেষ করে। ফলে প্রতিষ্ঠানটি ২৯ লাখ বিলের মধ্যে ১৭ লাখ বিল উত্তোলন করতে পারে। তবে আশার আলো হলো, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি বরাবর প্রক্কলন ব্যয় প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে মাছিমপুর, দড়িমাছিমপুর, কলাকান্দি ও খানেবাড়ীর একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ স্থানীয় ঠিকাদার দিয়ে কাজ করলে কাজের মান ভালো হয় না। তাই দূরের ঠিকাদার দিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
