নাজমুল করিম ফারুক :–
কুমিল্লা তিতাসে আওয়ামীলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৭৪ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে নিহতের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে তিতাস থানায় এ মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব শক্রতার জের ধরে উপজেলার হাড়াইকান্দি গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার সরকারের ছেলে এবং কলাকান্দি ইউনিয়ন আওয়ীলীগ ও উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য মোঃ শাহ আলমকে প্রতিপক্ষের লোকজন নির্মমভাবে কুপিয়ে ও টেঁটাবিদ্ধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খোকন নামে ১জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কলাকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ হাবিবুল্লা বাহার গ্র“প ও যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম গ্র“পের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। বৃহস্পতিবার রাতে বাহার গ্র“পের আওয়ামীলীগ ও কৃষকলীগ কর্মী শাহ আলম কলাকান্দি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হাড়াইকান্দির সাহেব পুকুর পাড় নামক স্থানে ইব্রাহিম গ্র“পের লোকজন শাহ আলমকে কুপিয়ে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে ৭৪ জনকে আসামী করে তিতাস থানায় একটি মামলা দায়ের করে (মামলা নং-১৬, তারিখ ঃ ২২/০৫/২০১৫)। এদিকে, শাহ আলম হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাড়াইকান্দি গ্রামের হত্যাকান্ডের অভিযুক্ত আসামী আলাউদ্দিন, রফিকুল, সবুজ, জহির, আরিফ ও কালাচানকান্দি গ্রামের অহিদ, খোকন, হারুন ও হেরনের বসতঘর ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট চালানো হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ নভেম্বর আওয়ামীলীগ নেতা বাহার ও যুবলীগ নেতা ইব্রাহিমের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী রেয়াজুল করিম সেন্টু টেঁটাবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। ঐ ঘটনায় সেন্টুর স্ত্রী আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে ১০৯ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় নিহত শাহ আলম আসামী ছিলেন।
