বারী উদ্দিন আহমেদ বাবর :–
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার চাটিতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী উপজেলার দক্ষিন শাকতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। সে শাকতলী গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে। এ ঘটনায় শিশুটির পিতা আবুল কালাম বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল আরীফ বরাবরে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে তিনি ওই বখাটেকে গ্রেফতার করতে নাঙ্গলকোট থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন। তবে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই লম্পটকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
ওই শিক্ষার্থীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে শিশু মেয়েটি তার নানার বাড়ি উপজেলার চাটিতলা গ্রাম থেকে বিদ্যালয়ে আসছিলেন। গ্রামের পূর্ব দিকে আলী পুকুরের কাছে আসলে তাকে একা পেয়ে একই গ্রামের বেলার বাড়ির লকিউত উল্ল্যাহর বখাটে ছেলে রেফায়েত উল্ল্যাহ (২৫) ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। তার জামা কাপড় খুলে ও ছিঁড়ে পেলেন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়িয়ে আহত করেন। এসময় মেয়েটির শোর-চিৎকারে পাশেই মাটি কাটার শ্রমিকরা এগিয়ে এলে লম্পট রেফায়েত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। উল্লেখ্য, ওই গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায় বখাটে রেফায়েত ভোলাইন বাজার সিনিয়র মাদ্রাসার প্রভাষক মাওঃ মোহাম্মদ হোসাইনের ভাতিজা ও প্রভাবশালী হওয়ায় এমন ন্যাক্কারজনক আরো অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। সে ইতিপূর্বে তার নানার বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের আপন বোনকে (খালা আম্মা) ধর্ষন করে। এছাড়াও একই গ্রামের প্রয়াত গ্রাম পুলিশ বিরেন্দ্রের মেয়ে ও আবদুল হাকিমের স্ত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলার দক্ষিন শাকতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নোয়াব আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমাকে মেয়েটির পরিবার জানিয়েছে। আমিও আমার সহকারী শিক্ষা অফিসার আফজালুর রহমানকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাপারটি জানতে পেরে বখাটে রেফায়েত উল্ল্যাহকে গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা নিতে অভিযান চালাই। কিন্তু সে টের পেয়ে পালিয়ে যায়।