আজিম উল্যাহ হানিফ:—
মোস্তফা কামাল, বয়স আনুমানিক ১৫ বছর। বাবা সফিকুল্ ইসলাম ও মা পারভীন আক্তারের ৫ সন্তানের ৪র্থ নম্বর। বাড়ি- কুমিল্লা জেলার আর্দশ সদর উপজেলার পাচথূবী ইউনিয়নের উত্তর বাগবের গ্রামে। হাস্যোজ্জল একটি ছেলে। পরিবারের ২ ছেলের মধ্যে বড়। সবার সাথেই আস্তে আস্তে কথা বিনিময়, হাসি-ঠাট্টা করে যে ছেলেটি। আর তার কি না আগামী জানুয়ারী ২০১৬ দিকে জীবন প্রদীপ নিভে যাবে! বছর খানেক আগে মোস্তফা কামালের পেটে চাক চাক কি যেন দেখা দেয়, পরিবারের পক্ষ থেকে কষ্ট করে নিয়ে যাওয়া হয় কুচাইতলীতে। সেখান থেকেই কুমিল্লা মেডিকেল হসপিটালে ভালো মানের ডাক্তারের শরনাপন্ন হলে ব্লাড ক্যান্সার রোগটি ধরা পড়ে। তখন থেকে প্রতিদিন ৩০০টাকার ওষুধ লাগছে তার। সেই থেকে তিনশত টাকার ওষুধ খাওয়াসহ প্রতি মাসে গড়ে মোস্তফা কামালের পিছনে পরিবারের পক্ষ থেকে ৯ হাজার টাকার মতো ওষুধের গ্লানি টানতে হচ্ছে। যা এই মূহূর্তে এসে সম্ভব হচ্ছে না। গত মঙ্গলবার সকালে তার বাড়ি গোমতীর নদীর উত্তর পাড়ে ডাক্তার রফিকের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ডাক্তার রফিকেরা ৫ ভাই। তার মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত মোস্তফা কামালের বাবা সফিকুল ইসলাম ডা. রফিকের মেঝো ভাই। যিনি ২০০৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর সাধ্যমত ডাক্তার রফিক মেঝো চাচা হিসেবে দেখাশুনা করে আসলেও বিগত ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল ক্যান্সার জনিত কারণে ডাক্তার রফিক ও শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলে আর কেউ তেমন এগিয়ে আসেনি। মোস্তফা কামালের ক্যান্সার ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত আলহাজ্ব সেলিম চেয়ারম্যান এতিমখানা হেফজ খানা থেকে ১৭ পারা কুরআনে হাফেজ হয়েছিল। বর্তমানে পরিবারটিতে বড় কেউ কিংবা অভিভাবক হিসেবে উপার্জন করার মত না থাকায় খেয়ে না খেয়ে কোনরকম দিনাতিপাত চালাতে গিয়ে মোস্তফা কামালের ওষুধের টাকা জোগাড় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাইতো ছেলেটির জীবন প্রদীপ বাচাঁতে কুমিল্লার সর্বস্তরের জনসাধারণসহ সমাজের ধনী লোকদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন মোস্তফা কামালের বিধবা মা পারভীন আক্তার।
যোগাযোগ ০১৮১৯-১০১৬৭৯ (সুমন),০১৮৩৪-৩৮৯৮৭১ (হানিফ)।