রেজাউল করিম রাসেল,কুমিল্লা :–
কুমিল্লায় সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে স্থানীয় খোকন নামে এক সন্ত্রাসী গ্রেফতার হওয়ার ঘটনার জের ধরে দুটি বাড়িতে ৫টি ঘর ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়।এময় সন্ত্রাসীদের হামলায় জহির আহমেদ (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ গুরুতর আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) বেলা ১২ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দুটি বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
আহত জহির মিয়াকে পুলিশ উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদশী নুরুন্নাহার বেগম জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের ১৫ ফেব্র“য়ারি স্থানীয় সন্ত্রাসী বশিরের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। ওই ঘটনার পর আমরা থানায় মামলা করি। ওই মামলায় জড়িত খোকন নামের এক সন্ত্রাসীকে পুলিশ আজ সকালে গ্রেফতার করে।
ওই সন্ত্রাসী গ্রেফতার হওয়ার জের ধরে বশিরের নেতৃত্বে পুনরায় আজ আবার স্থানীয় ইকবাল, ফরহাদ, লিটন, পলাশ, খোকন, ফয়সল ও অপুসহ ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী আমাদের দুই বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরের জানালা, টয়লেট, দরজা, আসবাবপত্র ভাংচুর করে। বৃদ্ধ জহির আহমেদকে পিটিয়ে আহত করে। সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় প্রায় ২ ভরি স্বর্ণের অলংকার, দুটি এল.ই.ডি টিভি (৩২ ও ৩৭ ইঞ্চি আকারের) , একটি ল্যাপটপ ও ৪টি মোবাইল নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় আজ মামলা করব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক সূত্র জানান, ৪ মামলার আসামি সন্ত্রাসী বশিরের বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। পুলিশ এলাকায় আসার আগেই সে খবর পেয়ে যায় । যার ফলে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ছত্রখিল ফাড়িঁর ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, বশিরের গ্র“পের একজনকে আজ গ্রেফতার করার পর এ হামলার ঘটনা ঘটে। তার বিরুদ্ধে ছত্রখিল ফাড়িঁতে পূর্বের ২টি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, বিগত ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর সন্ত্রাসী বশিরের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলায় দুই বছরের সাজাঁ দিয়েছে আদালত। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরো ৩টি সন্ত্রাসী মামলা চলমান রয়েছে। মামলাগুলো হল- চলতি বছরের ১৫ ফেব্র“য়ারি দায়েরকৃত মামলা নং-৪৬/১৮০, ১২ মার্চে দায়েরকৃত মামলা নং-৭৯/২৯৫, ২ এপ্রিল দায়েরকৃত মামলা নং-৩১২/২১৫ ।