মো. হুমায়ুন কবির মানিক :–
জন্মলগ্ন থেকে দু’টি কিডনীই নষ্ট! শারীরিক প্রতিবন্ধী অবস্থায় ১৬টি বছর পার! অপারেশনের সাহায্যে ঘুরছে জীবন চাকা। সত্যি এক বিস্ময়! জীবন আছে, অথচ নেই মিষ্টি দুষ্টমি ও উচ্ছ্বলতার স্বাদ! জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে বড়ই নীরব-নিথর টগবগে কিশোর মন! জন্ম থেকে সংগ্রাম যার, আজন্ম বিকল কিডনীর সেই বিস্ময় বালক আরিফ! তার দেহের দু’পার্শ্বে কিডনী অংশে অপারেশন থলি। যার সাহায্যে ১৫ বছর প্রস্রাব নির্গত হচ্ছে। অস্বাভাবিক জীবন সঙ্গী তবু থেমে নেই তার লেখা-পড়া। স্থানীয় গ্রামার স্কুলের মেধাবী মুখ আরিফ বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সহপাঠীদের খেলাধুলা দেখে বুকের ভিতর গুমরে কাঁদে নিরুৎসাহিত হৃদয়। আরিফের মনও চায় ছুটোছুটি করতে, বন্ধদের সাথে খেলতে কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, নিষ্ঠুর নিয়তি জীবনের সকল আহ্লাদ কেড়েছে তার। সে ১০ অক্টোবর ১৯৯৯ সালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নের বিনয় ঘর গ্রামের নুরুল আলম ভূঁইয়া ও শাহীন আক্তারের আলয় আলোকিত করে জন্মেছিল ভবে। জন্মে-ই জয় করে জনক-জননীর মন। তাই অতি আদরের পুত্র øেহে পরাজিত হয়ে øেহময়ী পিতা তাকে বাঁচাতে দেশ-বিদেশে অপারেশনসহ দীর্ঘ চিকিৎসা ব্যয়ে চাকুরী, চট্টগ্রামস্থ বাড়ীসহ স্থাবর-অস্থাবর সহায়-সম্পদ হারিয়ে শূন্য, সর্ব-শান্ত! ঢাকা এ্যাপোলো হাসপাতালের কনসালট্যান্ট প্রফেসর ডা. রাজেশ লাক্স মান রাত্ত’র সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে আরিফের। সম্প্রতি ডা. পরামর্শ দিয়েছেন আরিফকে বাঁচাতে হলে পুনরায় অপারেশনের জন্য ভারত নিয়ে যেতে হবে। যার জন্য দরকার বড় অংকের অর্থের। পরিস্থিতির আলোকে যা হতভাগ্য পিতার জন্য দুরুহ্ ও অসম্ভব ব্যাপার। জীবন-মরণ এমন সন্ধিক্ষণে আরিফের স্বজনরা দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দিকে তাকিয়ে আছেন। মানবতা রক্ষায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে কি এগিয়ে আসবেন সংস্থাগুলো? অধিকন্তু নিরুপায় হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার আবেদন জানিয়ে রেজিষ্ট্রি করে গত ১০ মার্চ ডাকযোগে একটি দরখাস্তও পাঠিয়েছেন বলে জানান নিঃস্ব পিতা নুরুল আলম ভূঁইয়া। তিনি বলেন জানি না সেটা প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌঁছেছে কিনা। তিনি আরো বলেন, আমার বিশ্বাস সংবাদটিতে যখন প্রধানমন্ত্রীর সু-যোগ্য কন্যা বাংলাদেশ অটিজম বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির চেয়ারম্যান সায়মা ওয়াজেদ পুতুল’র দৃষ্টি পড়বে তখন আমার ছেলের চিকিৎসার সহযোগিতায় তিনি হাত বাড়াবেন।
এছাড়া যারা ওই কিশোরকে বাঁচাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চান, তারা ০১৯১২৮৯৮০৭৫ নম্বরে যোগাযোগ অথবা ০৮৫০৩১০০১২২৫৯ যমুনা ব্যাংক, নাথেরপেটুয়া শাখার এ্যাকান্ট নম্বরে অনুদান পাঠাতে পারবেন।
