মো. হাবিবুর রহমান :–
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রাজনগর গ্রামে ডাকাত ভেবে ঢাকা তিতুমীর কলেজের ছাত্র ইমন হোসেন ভুইয়াকে (২৫) পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা অনুমান ৫টায় একটি পুকুর থেকে তার ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে। সে বাহেরচর গ্রামের ও হোমনা উপজেলার রামকৃঞ্চপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক জামির হোসেন ভুইয়ার ছেলে।
জানা যায়, ইমন হোসেন ভুইয়া ও তার চাচাতো ভাই শাহীন হোসেন ভুইয়া (২৪) ঢাকা থেকে বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে রাত অনুমান ৯টায় বাস থেকে উপজেলার কোম্পানীগঞ্জে এসে নামে। রাত হয়ে যাওয়ায় শাহীন হোসেন ভুইয়ার নানার বাড়ি বাহাদুরপুর যাবার জন্য সিএনজি যোগে রাত অনুমান ১১টায় রাজনগর গিয়ে নামে। তখন ডাকাত ভেবে এলাকার একদল দুর্বৃত্ত তাদেরকে ধাওয়া করে। এ সময় তারা দৌড়ে গাছ-গাছালীর নীচে গিয়ে পালায়। দুর্বত্তরা শাহীন হোসেন ভুইয়াকে খুঁজে বের করে প্রচন্ড মারধরপূর্বক সাবেক মেম্বার নুর মোহাম্মদের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাহাদুরপুর গ্রামের আত্মীয়-স্বজনরা এসে শাহীন হোসেন ভুইয়াকে উদ্ধার করে নেয়। ঘটনার পর থেকেই ইমন হোসেন ভুইয়া নিখোঁজ ছিল। বৃহস্পতিবার বেলা অনুমান আড়াইটায় রাজনগর গ্রামের আব্দুল হাকিম সওদাগরের পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। তখন আত্মীয়-স্বজনরা এসে তাকে সনাক্ত করে। সন্ধ্যা অনুমান ৫টায় পুলিশ ময়না তদন্ত করার জন্য লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নিহতের জুতা, মোবাইল ফোন ও সিডি ক্যাসেট জব্ধ করেছে। ইমন হোসেন ভুইয়া ঢাকা তিতুমীর কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। তবে উক্ত ঘটনার পিছনে রহস্য লুকিয়ে রয়েছে বলে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ মনে করছেন। রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ সরকার উক্ত হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং জড়িতদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এস আই হাসানকে পাঠিয়ে ময়না তদন্তের জন্য লাশ থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।