আকবর হোসেন, মনোহরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ–
মনোহরগঞ্জে দৈয়ারা ইসলামী পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। তরুণ মেধাবী ১৬ সদস্য বিশিষ্ট ২০১৫-২০১৬ সালের পাঠাগারের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যগণ হল সভাপতি মোঃ মাছুম বিল্লাহ (তুহিন), অধ্যয়নরত, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সহ-সভাপতি মোঃ রাসেল আহমেদ, মোঃ সাইফুল ইসলাম (হীরু), সেক্রেটারি, নাজমুল হাসান(নাহিদ), কোষাধ্যক্ষ, নেয়ামত উল্লাহ, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক, হাফেজ মোঃ ইয়াসিন আরাফাত, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, মোঃ মাসুদুর রহমান (রাব্বি), ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক, হাফেজ মোঃ রুবেল, সহ-ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক, মোঃ সালাহ উদ্দিন (রিফাত), সমাজকল্যাণ সম্পাদক, মোঃ খোরশেদ আলম, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, ইউসুফ হোসেন (স্বপন), ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, সামছুল ইসলাম মজুমদার, প্রচার সম্পাদক, তারেক মনোয়ার, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা, মোসাঃ ফাতেমা আক্তার (মাহমুদা), সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা হোসনেয়ারা আক্তার (মুক্তা), সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদিকা, জান্নাতুল মাওয়া (সাথী)।
পাঠাগারের নতুন কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বললে তারা জানান, এই পাঠাগারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো- আমরা একটি সুন্দর সমাজের স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন দেখি আদর্শ আলোকিত সমাজের, সমাজকে করতে চাই সুন্দর সুশোভিত, আদর্শ ও আলোকিত। সেজন্য প্রয়োজন সত্য, সুন্দর ও সুস্থ মনের মানুষ, আদর্শ ও চরিত্রবান মানুষ। কারণ, ব্যক্তি ও চরিত্র গঠন ছাড়া নিজেকে গড়া যায় না। আর নিজেকে গঠন ছাড়া সমাজ গড়া যায় না। সমাজ গড়া ছাড়া, গড়া যায় না দেশ ও জাতি। তাই সর্বাগ্রে প্রয়োজন নিজেকে চেনা-জানা। গড়া ও গঠন করা নিজেকে তৈরি করা, আর্দশ ও আলোকিত করা। পূত-পবিত্র, কোমল ও সুশোভিত চরিত্রাধীকারী হওয়া। আর নিজেকে আলোকিত করার মাধ্যম হলো বই পড়া, জ্ঞান অর্জন করা। বই পড়ার সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা হলো পাঠাগার। যেখানে আছে বিভিন্ন বইয়ের সমারোহ । যা পড়ে পাঠকমহল আলোকিত মানুষ হচ্ছে। সেই আলোকিত মানুষ গড়ার কাজ করে যাচ্ছে। “পড়িলে বই আলোকিত হই না পড়িলে বই অন্ধকারে রই” এই শ্লোগান ধারণ করে ১৯৮৬ সাল থেকে মনোহরগঞ্জ উপজেলার দৈয়ারা ইসলামী পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ পরিষদ। দিন যতই যাচ্ছে পাঠক মহলের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই পাঠাগারটি। বর্তমানে পাঠাগারের সদস্য সংখ্যা রয়েছে প্রায় ২ শতাধিক যারা বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। পাঠাগারে সদস্যরা নিয়মিত বই পড়ে থাকেন। সামাজিক দায়বদ্ধতায় বৃক্ষরোপণ, গরিব অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ, শিক্ষামূলক বিভিন্ন প্রতিযোগিতাসহ সমাজকল্যাণমূলক কাজ করে থাকে পাঠাগারের সদস্যরা। বই পড়ার আন্দোলন ও সমাজ কল্যাণমূলক কাজ কে আরো গতিশীল করতে এই কমিটি গঠন করা হয়।
