মো. হাবিবুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি :–
কুমিল্লার মুরাদনগরে চাঞ্চল্যকর পারভীন আক্তার ও লাকী আক্তারসহ ৩টি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পলাতক আসামী দুর্ধর্ষ মনির হোসেন সরকারের (৩৭) কামড়ে ক্ষত-বিক্ষত হয়েও সাহসী ভূমিকার কারণে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এতে মুরাদনগর থানার এসআই মাহবুবুর রহমান পিপিএম ও এসআই সিদ্দিকুর রহমান আহত হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাত অনুমান ৩টায় পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের এলখাল গ্রামের আবু সিদ্দিকের বাড়ি থেকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। সে ওই গ্রামের আব্দুল কাদের মেম্বারের ছেলে। দুর্ধর্ষ মনির হোসেন সরকারকে গ্রেফতার করার সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ভূক্তভোগীদের মধ্যে আনন্দ ও উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। অনুভূতিতে এমনই ধারণা করা হচ্ছে যে, ওই এলাকাবাসী যেন নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। ধৃত মনির হোসেন সরকারকে ১২ দিনের পুলিশী রিমান্ড চেয়ে কুমিল্লার কোর্টে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সে একাধিক ধর্ষন ও হত্যা মামলার পলাতক আসামী। তার ভয়ে এলাকার লোকজন সবসময় আতংকিত ছিল। গ্রেফতারের খবর শুনে এলাকাবাসী মহা খুশী। এ দিকে অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র ভট্ট জানান, ধৃত মনির অত্যন্ত ভংয়কর প্রকৃতির লোক। গ্রেফতার এড়াতে সে চ্ট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন আত্বগোপনে ছিল। তার অত্যাচার ও নির্যাতনে অতিষ্ঠের সংবাদে পুলিশ ঝুঁকি নিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। ধর্ষন ও হত্যা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।