দেবিদ্বার প্রতিনিধিঃ
দেবিদ্বারে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণকারী ইউপি চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ’র উপদেষ্টা ধর্ষক খোরশেদ আলম ও তার সহযোগী কুমিল্লা জজ কোর্টের আইনজিবী এডভোকেট হারুন-অর-রশিদ সবুজ ঘটনার ১৬দিন পরও গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কর্মী ‘বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ’র চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজিবী এডভোকেট রবিন্দ্র ঘোষ।
শুক্রবার দুপুরে ধর্ষিতার পরিবারের খোঁজ-খবর ও মামলার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে এসে তিনি ওই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ধর্ষক খোরশেদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকীর মুখে পালিয়ে মানবেতর জীবণ- যাপনকারী ভিক্টিমের মা’কে খুঁজে দেবিদ্বার থানায় পুলিশের হেফাজতে থানায় বসেই ওই সাক্ষাৎকার গ্রহন করেন। পরে বিকেলে ভিক্টিমের মায়ের সহযোগীতায় অজ্ঞাত স্থানে আত্মগোপনকারী ভিক্টিমের সাক্ষাৎ গ্রহণ করেন। তিনি বিকালেই স্থানীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের উপস্থিতিতে প্রথমে সেল ফোনে এবং পরে সন্ধ্যায় কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এস,আই) সালাহ উদ্দিনের কাছে মামলার অগ্রগতি এবং অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ার বিষয়ের কারন জানতে চান। একই বিষয়ে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথেও আলাপকালে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দবী জানান।
ওই সময় মানবাধিকার কর্মী ‘বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ’র চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজিবী এডভোকেট রবিন্দ্র ঘোষের সাথে ‘বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ’র সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী ‘ঐতিহ্যবাহী খাদ্য সংরক্ষণ কমিটির সদস্য সালাম নেওয়াজ এলিও চৌধূরী, স্থানীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানবাধিকার কর্মী বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ’র চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজিবী এডভোকেট রবিন্দ্র ঘোষ বলেন, আমি কুমিল্লায় আসার পূর্বে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে এসেছি। দেবিদ্বারে এসে ভিক্টিমের মা’কে অজ্ঞাত স্থান থেকে ডেকে এনে পুলিশের উপস্থিতিতে থানায় বসেই স্বাক্ষাত নিতে হলো। পরে ভিক্টিমের মা’কে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আত্মগোপনে থাকা ভিক্টিমের সাক্ষাৎ নিতে হয়েছে। এতেই সেই নির্যাতিত পরিবারের বর্তমান নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতি অনুমান করতে পেরেছি। তাকে আইনী সহায়তার পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তায় সর্বস্তরের মানুষকে সহযোগীতায় এগিয়ে আসার আহবান জানান। অপর দিকে তিনি ধর্ষক খোরশেদ চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী আইনজিবী সবুজকে দ্রুত গ্রেফতার পূর্ব আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
উল্লেখ্য কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম ও কুমিল্লা জজ কোর্টের আইনজীবী হারুন অর রশিদ সবুজের বিরুদ্ধে গত ২৪ডিসেম্বর রাতে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী (১৪)কে ধর্ষণের অভিযোগে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের হয়। গত ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) রাতে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১২৮/২৭-১২-১৪। মামলা দায়েরের পর ভিক্টিমের ডাক্তারী পরীক্ষা এবং আদালতে ২২ধারায় ভিক্টিমের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ সম্পন্ন করা হয়।