ষ্টাপ রিপোর্টারঃ–
চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা সোলেমান সওদাগরের নেতৃত্বে প্রায় ৩ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যের সরকারী গাছ কেটে ফেলেছে প্রভাবশালীরা। এতে করে সরকার বঞ্চিত হয়েছে অনেক লভ্যাংশ থেকে পাশাপাশি অনেক পুরাতন গাছ হওয়ায় এলাকাবাসী ভুগছে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রন্ত হওয়ায় আশংকায়। ঘটানাটি ঘটেছে উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের কনকাপৈত বাজারের পাশের শাহজাহানপুর মোড় নামক স্থানে। প্রাপ্ত তথ্যে এবং সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, এক একটি গাছের বয়স হবে প্রায় ৩০ বছর। গত শুক্রুবার থেকেই চলছে এই গাছ কাটার উৎসব। ভূলকরা গ্রামের মৃত জালাল আহমেদের ছেলে সোলেমান সওদাগর এবং তার সহকারী শাহজাহানপুর গ্রামের নুর আহম্মেদের ছেলে ও এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মো কামাল হোসেনের নেতৃত্বে চলছে এ গাছ কাটার উৎসব। আর এই কাজে নামে মাত্র টাকার বিনিময়ে সুযোগ করে দিয়েছেন কনকাপৈত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী মোর্শেদ আলম। মোর্শেদ আলমের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও বিভিন্ন পত্রিকায় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জনগনের হয়রানী এবং তার বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে খবর বের হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভূমি সহকারী মোর্শেদ আলম মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পুলিশ ম্যানেজ থেকে শুরু করে উপর স্তর পর্যন্ত সব কিছু ম্যানেজ করেছে। তার সহযোগিতায় এবং পরামর্শে সোলেমান সওদাগর এবং তার সহযোগীরা গত শুক্রুবার থেকে আজ পর্যন্ত গাছ কাটা হচ্ছে। আরো জানা যায়, যেহেতু ব্যাপক পুরাতন এবং ঐতিহ্যবাহী এই গাছগুলো কাটলে মানুষের জানাজানি হবে এবং বাঁধা আসতে পারে তাই তারা সরকারী বন্ধের দুই দিনকে টার্গেট করে গাছকাটা শুরু করে। স্থানীয় লোকদের থেকে জানা যায়, আজ শনিবার প্রায় ২০ জন শ্রমিক কাজ করছে গাছ কাটা এবং আনা নেয়ায়। তাদের স্বীদ্ধান্ত শনিবার রাতের মধ্যেই গাছ এবং গাছের সকল অংশ তারা ঐ স্থান থেকে সরিয়ে নিবে। দ“ত আনা নেয়ার জন্য তারা ট্রাক্টর ভাড়া করেছে । যেহেতু সোলেমান সওদাগরের শাহজাহানপুর মোড়ের পাশেই সানকার দিঘী নামক স্থানে স-মেইল রয়েছে তাই অনেক গাঠ এবং গাছের ডালের গন্তব্যস্থল তার স-মেইলে। কারন রবিবার সকল অফিস বিশেষ করে ভূমি অফিস খোলা তাই তারা হয়তো বাঁধাপ্রাপ্ত হতে পারে। উল্লেখ্য ইতিপূর্বেও প্রায় ২ বছর আগে এই চক্রটি শাহজাহানপুর মোড়ের গাছগুলো কাটার চেষ্টা করলে ঐ সময়ে তাদেরকে ভূমি অফিস থেকে বাধা দেওয়া হয়। বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে তারা আর ঐ সময়ে গাছগুলো কাটার সুযোগ পায়নি। বর্তমানে দুর্নীতিগ্রস্থ ভূমি সহকারী এবং পাশাপাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাদের দলীয় হওয়ায় ও সবকিছু তাদের অনুকুলে থাকায় এই সময়টাকেই তারা বেছে নিয়েছে গাছ কাটার।
গ্রামের ঐতিয্যের সাথে মিশে থাকা এ গাছগুলো কাটায় শাহজানানপুর এবং পাশ্ববর্তী পাঠানপাড়া, কনকাপৈত গ্রামবাসীর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনাকারীরা গ্রামের এবং এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ সরাসরি মুখ খুলে বাঁধা দিতে পারছে না। এ যেন তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরনের অবস্থা। পরিবেশ ধ্বংশকারী এই চক্রকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।