মোঃ বেলাল হোসাইন, চৌদ্দগ্রাম :—
মাত্রই শীতের আগমনী বার্তা শরু হয়েছে। তাতেই শুরু হয়েছে প্রতিবছরের ন্যায় অবাধে সরকারী বিদ্যুতের পিলার থেকে বিদ্যুতের লাইন টেনে ব্যাটমিন্টন খেলার নামে অবাধে বিদ্যুত অপচয়ের দৃশ্য। চলতি শীত মৌসুমে রাতে ব্যাডমিন্টন খেলার কারণে সমগ্র চৌদ্দগ্রামে চলছে বিদ্যুৎ অপচয়ের মহোৎসব। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি গ্রামে অন্তত এক থেকে একাধিক স্পটে চলছে ব্যাটমিন্টন নামক খেলা। সন্ধ্যা থেকে খেলা শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলে। প্রত্যেক খেলায় ২’শ থেকে ৫’শ ওয়ার্টের ৪ টি বাল্ব ব্যবহার করা হয়। হিসেবে করে দেখা গেছে, চৌদ্দগ্রামে শুধু মাত্র ব্যাডমিন্টন খেলায় যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় সে পরিমাণ বিদ্যুৎ দিয়ে একটি ফ্যাক্টরী চালানো সম্ভব। সরকার যেখানে বিদ্যুৎ অপচয় রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ঠিক এসময়ই অপচয় বেড়ে চলছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যারা রাত জেগে ব্যাডমিন্টন খেলে তারা সবাই যুবক এবং এদের একটি অংশ অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। চৌদ্দগ্রামে বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে রাত জেগে ব্যাটমিন্টন খেলাকে দায়ী করেছে চৌদ্দগ্রামের অনেক সচেতন জনগন। যার কারণে সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে কোন কিছু বলতে রাজি হয় না। অথচ এ অপচয়ের সম্পূর্ণ দায়ভার নিতে হচ্ছে ভুক্তভোগী মানুষদের। এ বিষয়ে শীতের সময় বিভিন্ন বছরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রচারিত হলেও তা বন্ধে প্রশাসন বা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কোন ধরনের তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। ভুক্তভোগীরা জানান, যেহেতু নির্দিষ্ট মিটার থেকে লাইন না টেনে বিদ্যুতের পিলার থেকে টানা হয়, সেহেতু নির্দিষ্ট কোন মিটারে উক্ত বিদ্যুতের ইউনিট আসে না। তবে সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে নির্দিষ্ট দুই-এক পিলারের মাঝে সাব মিটার বসিয়েছে কর্তৃপক্ষ এবং অবৈধ ব্যবহরের বিদ্যুৎ বিল সংশ্লিষ্ট পিলারের আওতাধীণ সকল মিটারে ভাগ করে দেওয়া হয়। তাই এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কিন্তু জনগনের জিজ্ঞাসা কর্তৃপক্ষের গাফেলতী এবং অন্যজনের অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাশুল তারা কেন দিবে? ভুক্তভোগীদের দাবি প্রশাষন যদি মাঝে মধ্যে টহল দিয়ে কার্যক্রম চালায় এবং কর্তৃপক্ষ যদি এ বিষয়ে সজাগ হয়, তাহলে দেশের সবচেয়ে বড় এ সম্পদ অপচয় কারীদের হাত থেকে রক্ষা পাবে।