কুমিল্লা প্রতিনিধি–
কুমিল্লা মহানগরীতে হত্যার ৪৯ দিন পর তোতা মিয়া (১৮) নামের এক তরুণের গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কুমিল্লা নগরীর ডুলিপাড়া চৌমুহনীর ঈদগাহ সংলগ্ন রাজ্জাক মিয়ার কচুরিপানা ডোবা থেকে গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ সময় কচুরিপানার ডোবা থেকে তোতা মিয়ার শরীরের ৬/৭টি হাড় পাওয়া যায়।
নিহত মো. তোতা মিয়া কুমিল্লা সদর উপজেলার পাচঁথুবী ইউনিয়নের শিবেরবাজারের শরীফপুর গ্রামের মনা মিয়ার ছেলে। তিনি গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলার আসামি নগরীর দ্বিতীয় মুরাদপুর গ্রামের মৃত মো. চান মিয়া মেম্বারের ছেলে আজাদ (৫৮), দক্ষিণ চর্থা থিরাপুকুরপাড় এলাকার মৃত মানিক চৌধুরীর ছেলে জুম্মন (২৮), একই এলাকার রিপন, সৈকত, অপু, ইমরান ও ফুল মিয়া।
ডিবি সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৩ অক্টোবর দক্ষিণ চর্থা থিরাপুকুরপাড় এলাকায় তোতা মিয়াকে বেধড়ক মারধর করে হত্যা করে পুকুরে লাশ গুম করে রাখে আসামিরা।
এ ঘটনায় ২১ নভেম্বর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম পিপিএমের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ কামাল আকন্দ ও এসআই সহিদুল ইসলাম ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জুম্মনকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে জুম্মন ডিবি পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের সত্যতা স্বীকার করে। পরে তার তথ্যমতে মূল হত্যাকারী আজাদকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের সাহায্যে লাশ গুমের স্থান সনাক্ত করে আরো পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবি পুলিশের ওসি মো. মনিরুল ইসলাম পিপিএম জানান, গলিত মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।