মো.জাকির হোসেন :–
কুমিল্লার বুড়িচং থেকে ৭ বছরের এক শিশু অপহরনের ১২ দিন পর মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে বি-বাড়ীয়া থেকে আপহরনকারীকে গ্রেফতার করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শিশুটিকে একটি চাতাল থেকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে শিশু অপহনের ঘটানায় বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করে শিশুটির বাবা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, লক্ষীপুর জেলার রামগতি থানার চর রমিজ গ্রামের মৃত মন্তাজুল ইসলামের পুত্র আবদুল হক দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ বুড়িচং উপজেলার চকবস্থা এলাকায় স্থানীয় আবদুল হক মেম্বারের চাতালে কাজ করে আসছে। ওই চাতালের সর্দার হিসেবে তার অধিনে ১০/১২ জন শ্রমিক কাজ করত। গত ৯ অক্টোবর সকালে ওই চাতালের মুরাদ নামে এক শ্রমিক কাজের টাকা চায়। এসময় চাতাল শ্রমিক সর্দার জানায় তুমি যে পরিমান কাজ করেছ তার চেয়ে বেশি পরিমান টাকা দেয়া হয়েছে আর টাকা দেয়া হবেন। এসময় শ্রমিক সর্দারের সাথে মুরাদের কথা কাটাকাটি হয়। গত ২৪ অক্টোবর সকালে শ্রমিক সর্দার তার ৭ বছরের ছেলে সাকিবুল হাসানকে ঘরে না পেয়ে এদিক সেদিক খোজা খুজি করতে থাকে। পরে স্থানীয় দোকানদার বেলাল হোসেন জানায় মুরাদ তাঁর দোকান থেকে একটি পাউরুটি কিনে দিয়ে সাকিবকে নিয়ে চলে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে মুরাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। দু’দিন পর ২৬ অক্টোবর দুপুরে মুরাদ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায় যে সাকিবকে সে অপহরন করেছে এবং ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করে। এ ঘটনার পর চাতাল শ্রমিক সর্দার আবদুল হক ৩০ অক্টোবর বুড়িচং থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০০৩ এর ৭/৮ ধারায় অপহরন করে মুক্তিপন দাবী এ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে, মামলা নং ৪৩। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বুড়িচং থানার এস আই ইমাম হোসেন মামলার প্রেক্ষিতে মুক্তিপন দাবীকৃত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে বি-বাড়ীয়া জেলার আশুগঞ্জ ও সদর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় সুহিলপুর গ্যাস ফিল্ডের ৩ নং ব্লক খলাপাড়া এলাকা থেকে অপহরকারী মুরাদ (৩০) কে গ্রেফতার করে। পরে মুরাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খলাপাড়া এলাকার একটি চাতালের ১২ নং কক্ষ থেকে অপহৃত শিশু সাকিবুল হাসানকে উদ্ধার করে। আটককৃত অপহরনকারীর বাড়ী কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার আগানগর গ্রামে, তার পিতার নাম ছিদ্দিক মিয়া।