মো.জাকির হোসেন :–
বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বুড়িচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালাল চক্রের দৌরত্ব সংবাদ প্রকাশের ফলে রোববার কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদরের সরকারী হাসপাতালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। এ সময় ৫ মহিলা দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদরের একমাত্র সরকারী হাসপাতালটি দীর্ঘ দিন ধরে দালাল চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল। দালালরা বিভিন্ন মেডিকেল ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারের প্রতিনিধি। তারা বিভিন্ন রেটে কমিশনে ডাক্তারদের দেয়া পরীক্ষা গুলি সল্প সময়ে অল্প খরচে করে দেয়ার নামে রোগীদের নি¤œ মানের ডায়গনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে পরীক্ষার নামে হাতিয়ে নেয় দ্বিগুন টাকা। এই টাকার ভাগ প্রেসক্রিপশন প্রদানকারী ডাক্তারসহ দালালরা পায়। এর ফলে অসহায় রোগীরা প্রতিনিয়িত হয়রানীর শিকার হচ্ছে। এনেক সময় রোগীদের প্রেসক্রিপশন নেয়া নিয়ে দালালদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এনিয়ে সম্প্রতি কুমিল্লার বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়, ফলে টনক নড়ে উঠে প্রশাসনের। যার প্রেক্ষিতে গতকাল রোববার বেলা দুপুর ১২ টায় বুড়িচং থানার এস আই আজীম হাওলাদার, এস আই জাকির হোসেন, এস আই ইমাম হোসেন বুড়িচং হাসপাতালে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ ৫ মহিলা দালালকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতিতে বাকী দালালরা এসময় দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে আটককৃতদের বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আফরোজা পারভিন এর নিকট হাজির করলে তিনি আটকৃতদের নিয়ে ওই হাসপাতালে যায়। সেখানে সাক্ষ্য প্রমান শেষে ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা ও জরিমানা করে তা আদায় করে। আটকৃতরা হলো- আরাগ-আনন্দপুর গ্রামের ফজলু মিয়ার স্ত্রী নূরজাহান বেগম ১ মাসের জেল, বুড়িচং গ্রামের স্বপন দাসের স্ত্রী মুন্নি দাস ১মাসের জেল, বুড়িচং গ্রামের এলাহি মিয়ার স্ত্রী পারুল আক্তার ১ মাসের জেল, বুড়িচং গ্রামের অহিদ মিয়ার স্ত্রী আয়েশা ১৫ দিনের জেল ও ৫শ’ টাকা জরিমানা, আরাগ-আনন্দপুর গ্রামের মৃত আবদুল কুদ্দুছ মিয়ার মেয়ে হালিমা আক্তার ৫ শ’ টাকা জরিমানা করে তা আদায় পূর্বক একজনকে ছেড়ে বাকীদের জেল হাজতে প্রেরন করে। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আফরোজা পারভিন জানায়, ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান অব্যাহৃত থাকবে। তাছাড়া যে সকল ডায়গনষ্টিক সেন্টার তাদের ব্যবহার করনের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে, অচিরে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।