ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:—
বাংলাদেশি নাগরিক জনু মিয়াকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর এ নিয়ে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিকেলে দুই দেশের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে তিন দফা পতাকা বৈঠকের পরও তাকে ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
গত বুধবার গভীর রাতে জনু মিয়াকে (৫০) তার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তিনি কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জনু মিয়া ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দুই হাজার ৫২ পিলারসংলগ্ন ফায়েজ মিয়ার বাড়িতে থাকেন। গত বুধবার রাত আড়াইটার দিকে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ ওই বাড়িতে হানা দিয়ে ঘুমন্ত জনু মিয়াকে ধরে নিয়ে যায়। এ নিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) আহ্বানে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আশাবাড়ি সীমান্তে দুই দেশের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিজিবি জনু মিয়াকে বাংলাদেশী নাগরিক দাবি করে তার জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেয়। শুক্রবার সকাল ১০টায় ও বিকাল চারটায় দুই দফা কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হলেও জনু মিয়াকে ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
এসব পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন শঙ্কুচাইল বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার এমদাদ এবং ভারতের পক্ষে আশাবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার বালা দিব সিং।
শুক্রবার কুমিল্লার বিজিবি ১০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সহিদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ভারতীয় নাগরিক মনে করে বিএসএফ জনুকে ধরে নিয়ে গেছে। বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে তার জাতীয় পরিচয়পত্র পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে।
জনু বর্তমানে ভারতীয় পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে জানান সহিদুর রহমান।