শামসুজ্জামান ডলার :–
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় অধিক মুনাফার আশায় কৃষকরা এবার ভুট্রার আবাদ করেছে ১হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে। অনুকুল আবহাওয়া ও কোন ধরনের রোগবালাই না হওয়ার কারনে বেশকিছু অঞ্চলে ভূট্রা মারাইয়ের পরে দেখাযায় ফলন হচ্ছে বাম্পার। হিসেবমতে দেখাযাচ্ছে, এবার প্রতি হেক্টর জমিতে ভূট্রার উৎপাদন হচ্ছে ৮.৬৪ টন। সেহিসাবে এবারে মতলব উত্তর উপজেলায় ১হাজার ২৫হেক্টর জমিতে ভূট্রা উৎপাদন হতেযাচ্ছে ৮হাজার ৮৫৬টন। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে মনপ্রতি ৬৫০ থেকে ৬৭০টাকায় সে হিসাবে দেখাযাচ্ছে এ মৌসুমে এ উপজেলায় কৃষকরা ভূট্রাবিক্রি করে অর্জন করবে ৫কোটি ৮লক্ষাধিক টাকা।
উপজেলার মেঘনা ধনাগোধা সেচ প্রকল্পের পানীয় সেচ না পাওয়া এমন অনেক স্থানেই এবার প্রচুর পরিমানে ভুট্রার আবাদ লক্ষকরা যাচ্ছে। তাছাড়া এ উপজেলায় বানিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষ, লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগীর ফার্ম ও গরু মোটা-তাজা করন প্রকল্পের জন্য এখানেই ভুট্রার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, এ মৌসুমে উপজেলার ১হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্রার আবাদ হয়েছে। আর এখানে মিরাক্কেল, ৯০০এম গোল্ড, এনকে-৪০, ৭৪০ জাতের ভুট্রার আবাদই বেশী হয়েছে। আর অধিক ফলনের কারনে কৃষকরা অনেক উৎসাহ নিয়েই এসব জাতের ভুট্রার আবাদ বেশী করছে। উপজেলার সুজাতপুর, নন্দলালপুর, শিবপুর, ছেংগারচর, ইসলামবাদ, মান্দারতলী, বেগমপুর, হানিরপাড়, রাড়ীকান্দি, দুর্গাপুরসহ আরো অনেক স্থানেই ভুট্রার আবাদ লক্ষ্যকরা যাচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার চরাঞ্চলের চরউমেদ, চরকাশিম, বোরচর, চরওয়েস্টার, বাহেরচরসহ চরাঞ্চলের আরো কিছু অঞ্চলে এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে অধিকমাত্রায় ভূট্রার আবাদ করা হয়েছে। গতবছর ৬৫০হেক্টর জমিতে ভূট্রার আবাদ হলেও এবার তা পৌঁছেছে ১হাজার ২৫হেক্টরে।
গজরা অঞ্চেলের ভুট্রা চাষী রেহান উদ্দিন মেম্বার জানান, সেচ প্রকল্পের পানি না পাওয়া অঞ্চলসহ বেশকিছু জমিতেই তিনি ভূট্রার চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি ৬৫০টাকা হারে শতাধিকমন ভূট্রা বিক্রি করেছেন। তার বক্তব্যমতে, ধানের আবাদের চেয়ে ভূট্রার আবাদ অনেক লাভজনক এবং তার দেখাদেখি এখন ওই এলাকার অনেক চাষীই ভূট্রা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। হানিরপাড় এলাকার ভুট্রা চাষী মাহবুব আলম লাভলু বলেন, এবারই আমি প্রথম ভূট্রার আবাদ করি, ইতিমধ্যে ৬০মনের মতো মারাই হয়েছে। তবে দাম কিছুটা কম হলেও ভূট্রার আবাদ লাভজনকই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ূম মজুমদার বলেন, স্থানীয় কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে বেশী লাভের কথা চিন্তা করেই ভুট্রা চাষে আগ্রহী হয়েছে। ফলে দিনেদিনে পতিত থাকা জমিগুলোও ভূট্রা চাষের আওতায় আসছে।