ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :–
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বামীর অবহেলা ও অত্যাচার সইতে না পেরে অবশেষে দুই সন্তানসহ এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের মেড্ডা মৌবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূর নাম নারগিস আক্তার। এ ঘটনায় তার স্বামী ছেলু মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।ছেলু মিয়া ওই এলাকার মৃত সহিদ মিয়ার বড় ছেলে। তার পরকীয়ার কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিষ খাইয়ে সন্তানদের হত্যার পর নারগিস নিজেও আত্মহত্যা করে। নারগিসের নিহত দুই সন্তান হল মেয়ে তারিন ও ছেলে সাফি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার সকালে মৌবাগ এলাকায় ছেলু মিয়ার বাড়ির শয়ন কক্ষে দরজা বন্ধ থাকায় বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করে। কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ফেলা হয়। সেখানে নারগিস ও তার দুই সন্তানের মরদেহ পাওয়া যায়। লাশ উদ্ধারের পরপর ছেলু মিয়া বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে তার স্বজনরা কৌশলে তাকে শুক্রবার দুপুরে শহরের পশ্চিম মেড্ডা শরীফপুর এলাকায় ডেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহকারি পুলিশ সুপার তাপস চন্দ্র ঘোষ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিষ মেশানো খাবার খেয়েই তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নারগিসের মা মোমেনা বেগম জানান, ১০/১২ বছর আগে চিলিকুট গ্রামের শাহজাহান মিয়ার মেয়ে নারগিসে সঙ্গে ছেলু মিয়ার বিয়ে হয়। বেশ কয়েক বছর যাবৎ তাদের সংসার ভালোই চলছিলো। ২ বছর যাবত ছেলু মিয়া অন্য এক মহিলার সাঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। ছেলু মিয়া নারগিসকে মারধর করতো।