—-কাজী কোহিনূর বেগম তিথি
তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ বাংলাদেশ। নানা সমস্যায় জর্জরিত -তারপরেও আমরা উন্নতির দিকে ধাবিত হওয়ার চেষ্টা করছি। শিল্প -কলকারখানা গুলোও গড়ে উঠেছে সেভাবে। দেশ এখন যথেষ্ট উন্নতির পথে। তবে আরও উন্নতির দিকে যদি ধাবিত হতে চাই তাহলে শুধু সরকারের উপর হাল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকলে হবে না। প্রতিটি মানুষকে সরকারের নিয়ম নীতির উপর শ্রদ্ধাশীল হয়ে -স্বউদ্যেগে শ্রমিক আইন মেনে চলতে হবে। যেন প্রতিটা শিল্প- কলকারখানার মালিক এবং শ্রমিক – শ্রমিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন । শ্রমিক আইনের উৎপত্তি কিভাবে হল ? এর গুরুত্ব এবং তাৎপর্য নিয়ে মালিক পক্ষ এবং শ্রমিক পক্ষের মধ্যে সপ্তাহে একবার আলোচনা মূলক বৈঠক হওয়া প্রয়োজন। এবং শিল্প কলকারখানার ট্রেড-ইউনিয়ন এব্যপারে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। সেজন্য এর গুরুত্ব অপরিসীম। আর ট্রেড ইউনিয়ন যাতে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে সে বিষয়ে কতৃপক্ষকে অবশ্যই বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।কারন এতে করে মালিক শ্রমিকের প্রতি এবং শ্রমিক মালিকের প্রতি সৌহার্দপূর্ন আচরন করবে এবং উৎপাদন বেড়ে যাবে ।
আমাদের মত দরিদ্র দেশে বিশেষ করে গার্মেন্টস গুলো দেখা যায় স্বল্প জায়গায় -গড়ে উঠেছে। অস্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে কর্মীরা বিশেষ করে গ্রীস্মে তারা গরম সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে যায়। আবার কোন কোন শিল্প কারখানায় দেখা যায় -শ্রমিকদের ২-৩ মাস পর বেতন দেওয়া হয়। যা কিনা প্রতিমাসের শেষে দেওয়া বাঞ্ছনীয়।
আবার আমরা অনেকে রিক্স্রা চালক্কে তাদের ন্যয্য ভাড়া দিতে চাই না। কখনো রিক্সা চালক প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছে । শুধু সেটা নয় বাজারে -শপিং কমপ্লেক্স গুলোতে মূল্যের অসামঞ্জস্যতা – প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা – একজন ক্রেতাকে অসুস্থ করে তোলে।
তাই প্রতিটা মালিকের উচিত তার অধিনস্তদের সাথে শ্রমিক আইন নিয়ে weekly Meeting করা এবং কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে আচরনগত শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা। কারন আমাদের দেশের বেশীরভাগ শ্রমিকই অশিক্ষিত।
এই উদ্যেগে উৎপাদন এবং ক্রেতার সংখ্যা বেড়ে যাবে।
যেহেতু আমাদের পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা সেহেতু শিল্প কলকারখানা ছাড়াও অন্য সব প্রতিষ্ঠান গুলোতে-মালিক পক্ষই এগিয়ে আসবে শান্তি প্রিয় সুশৃঙ্খল প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য। প্রয়োজনে শ্রমিকদের উন্নতমানের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে উন্নত মানের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
পরিশেষে এটাই বলব- প্রতিটা প্রতিষ্ঠানের মালিক নিজের এবং শ্রমিকদের কর্মের স্বচ্ছ মুল্যায়নের ব্যবস্থা রাখা ভাল – সেক্ষেত্রে একটি প্রতিষ্ঠান অন্য আর একটা প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন করবে। এই নিয়ম উৎপাদন বৃদ্ধিতে যতেষ্ট সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।
====================
লেখিকা এবং সমাজ কর্মী
kazitithi@gmail.com