ঢাকা:–
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি ইমার্জেন্সী ওয়ার্কিং কমিটির সভার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘একতরফা নির্বাচনে জেএসডি যাবে না’। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের গণ দাবীকে উপেক্ষা করে পুনর্গঠিত মহাজোট সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে ঘোষনা দেয়া হয়েছে- তা হবে সম্পূর্ণভাবেই একটি একতরফা নির্বাচন। মহাজোটের মন্ত্রী সভা বহাল রেখে এ নির্বাচনে কোন ভাবেই সকলের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ সৃষ্টি হবে না বরং পুলিশ ও প্রশাসনকে প্রভাবিত করে নির্বাচনের ফলাফল পুর্ব পরিকল্পনা মাফিক নিজেদের পক্ষে নেয়ার পূর্ন সুযোগই এখানে সরকারের রয়েছে। তাই এ নির্বাচনে অংশগ্রহন করার অর্থ হলো একটি অগনতান্ত্রিক ও পাতানো নির্বাচনকে বৈধতা দেয়া, যা জেএসডি করতে পারে না। প্রস্তাবে বলা হয় ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের সময়ই সংঘাত ও সহিংসতার সৃষ্টি হয়। এর একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। প্রয়োজন কথিত বড় দুই দলের সৃষ্ট উত্তরোত্তর এ সংঘাত ও সহিংসতা থেকে জাতিকে স্থায়ীভাবে মুক্ত করার জন্য জেএসডি পার্লামেন্টের উচ্চ-কক্ষ গঠন করে সেখান থেকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিধান করা। এ লক্ষ্যে জেএসডি দুই জোটের বাইরের সকল গনতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও সুশীল সমাজকে নিয়ে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। গতকাল বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা ও আজ সকাল ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত দলের সভাপতির উত্তরাস্থ বাস ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় এ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
জেএসডি সভাপতি জনাব আ স ম আবদুর রব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক জনাব আবদুল মালেক রতন, জনাব এম এ গোফরান, আতাউল করিম ফারুক, মোঃ সিরাজ মিয়া, শরীফ মোহাম্মদ খান, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, আবদুল খালেক, এস এম আনছার উদ্দিন প্রমুখ।