কুমিল্লা প্রতিনিধি :–
অবশেষে তৃণমূল নেতাদের আশংকাই সঠিক হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের বাদ দিয়েই কুমিল্লা জেলা (উত্তর) আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক উপজেলা মুরাদনগরে ষোল বছরের পুরানো কমিটি বিলুপ্তের সাড়ে চারমাসের মধ্যে ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লা জেলা (উত্তর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ঢাকার ধানমন্ডিস্থ বাসভবনে তার অনুসারি নেতাদের নিয়ে ওই কমিটি করা হয়। কমিটি অনুমোদনের স্বাক্ষরে পূর্বের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। কমিটিতে তৃণমূল নেতাদের স্থান হয়নি। এধরণের কমিটিকে জাহাঙ্গীর সরকারের পকেট কমিটি আখ্যায়িত করে মুরাদনগর আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা কমিটি প্রত্যাখান করেছেন এবং তা বাতিলের দাবীতে আন্দোলনে নামবেন বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে তৃণমূলদের বৈঠকে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকার উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর সরকারের ইচ্ছায় শেষ পর্যন্ত মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে নিয়ে এলাকায় ওই নেতা বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন। জামায়াতের হরতাল থাকায় তৃণমূলরা কোন আন্দোলনে নামেনি। তবে ওই কমিটি বাতিল করা না হলে মুরাদনগরে জাহাঙ্গীর সরকারকে অবাঞ্চিত ঘোষণাসহ কঠোর কর্মসূচি হাতে নেবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতারা। জানা গেছে, বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি হারুন আল রশিদকেই নতুন কমিটির সভাপতি ও মহিউদ্দিন নামে একজনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে কুমিল্লা (উত্তর) জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল আঊয়াল সরকার জানান, ‘কমিটির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আর আমার হাতে নতুন কমিটির কাগজপত্র আসেনি, এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম সরকারই ভাল বলতে পারবেন। এদিকে ঢাকায় বসে নতুন কমিটি গঠনের কথা স্বীকার করে জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, ‘সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নাম ছাড়া বাকিদের নাম চূড়ান্ত করা হয়নি’।