মিজানুর রহমান সরকার, ব্রাহ্মণপাড়া :–
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সদর সহ বেশ কিছু রাস্তা সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে জনদূর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স সংলগ্ন ব্রাহ্মণপাড়া-দুলালপুর রাস্তায় উপজেলা মসজিদ সংলগ্ন রাস্তাটিতে প্রায় আধা কিলোমিটার পাকা রাস্তার পিচ নষ্ট হয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই রাস্তার পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসমের বৃষ্টির পানি জমে রাস্তা গুলো নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে হাটু সমান কর্দমাক্ত পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। এ রাস্তা দিয়ে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী সহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা-প্রশাসনের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ন রাস্তাটিতে বাজারের মালামাল বহনকারী ট্রাক, মিনি ট্রাক, পিকাপ ভ্যান, ভটভটি, নসিমন সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। ফলে রাস্তার কার্পেটিং, পাথর, খোয়া উঠে গিয়ে রাস্তাটিতে বেশ কয়েকটি বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রাহ্মণপাড়া পশ্চিম বাজার ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিন মেম্বার, বাহারুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে আক্ষেপ করে বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রুগী ও ডাক্তারগণ, থানা প্রশাসনের লোকজন চলাচল করে। অথচ এ রাস্তাটি পানি নিষ্কাশনের অভাবে জলবদ্ধাতা হয়ে চরম জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করছে যেন দেখার কেউ নেই। আমরা অচীরে এ রাস্তাটির ড্রেনেজ ব্যবস্থা সহ সংস্কারে এলাকার এমপি সাবেক আইন মন্ত্রী এড. আবদুল মতিন খসরু এমপি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী, উপজেলা প্রকৌশলী সহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এছাড়াও উপজেলার মধ্যে এমন কিছু রাস্তা আছে যেগুলোতে যানবাহন চলাচল করা দূরের কথা, পায়ে হাটাও কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে, বাস্তবে রাস্তার হালচিত্র দেখলে মনে হয় এখনই ধান রোপনের উপযোগী সময়। রাস্তা গুলো যথাক্রমে চান্দলা বাজার থেকে চাড়াধারী গোদারাঘাট রাস্তা, চান্দলা থেকে দর্পনারায়ণ পুর রাস্তা, বড়ধুশিয়া ব্রীজ থেকে নাগাইশ হয়ে পাচঁ পীর মাজার রাস্তা, নাগাইশ বড় মসজিদ থেকে উত্তরে সাজঘর দেউস মন্দবাগ সংযোগ রাস্তাটি অবস্থা খুবই নাজুক, এ রাস্তার যাতায়াতকারী ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান কয়েকদিন পূর্বে পানিতে পড়া এক শিশু রোগীকে রিক্সা যোগে এ রাস্তা দিয়ে হাসপাতালে নেয়ার সময় রিক্সার চাকা দেবে যায়। পরে রিক্সা রেখে পায়ে হেটে রোগীকে আনতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এভাবে বহুরোগী এই ঝুকিপূর্ণ রাস্তার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পন্য মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। শশীদল হতে আশাবাড়ী রাস্তা, উত্তর তেতাভূমি থেকে সীমান্তবর্তী রাস্তা, হরিমঙ্গল নয়নপুর রাস্তা, রামনগর থেকে অলুয়া রাস্তা, গোপালনগর থেকে দুলালপুরের রাস্তা, দুলালপুর হতে বালিনা রাস্তা, গোলাবাড়ীয়া হতে খালপাড় রাস্তা, শিদলাই- চান্দলা রাস্তা এবং শিদলাই জোরপুল হতে কান্দুঘর রাস্তা সহ আরো অনেক রাস্তার বেহাল অবস্থা। এসব রাস্তার কিছু কিছু অংশ পাকাকরন থাকলেও কার্পেটিং না থাকায় ইটের খোয়া পাথর গুলো উঠে গিয়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে পন্য ও যাত্রী বাহী বিভিন্ন যানবাহন প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রাজনৈকিত বক্তব্য এবং সরকারী ভাবে উন্নয়নের তালিকায় উল্লেখিত উন্নয়নের জোয়ারের উদ্ধৃতি দিয়ে, বাস্তবে রাস্তার দুরবস্থায় হতাশা প্রকাশ করেন তারা। জন দূর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ওইসব রাস্তা উন্নয়নের জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার আপামর জনসাধারণ।