জেহাদ হোসেন খোকন:–
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের মামুন মিয়ার দেড় বছরের পুত্র সিফাতের লাশ ২ মাস পর আজ মঙ্গল বার ১৪ মে দুপুরে কবর থেকে উত্তোলন করা হবে। সিফাতের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিফাতের মা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে হত্যা ও গুমের অভিযোগ এনে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের মামুন মিয়ার পুত্র সিফাত (১৯ মাস) গত ১৪ মার্চ দুপুর ২.১০ মিনিটে বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়। পরে তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে বুড়িচং উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। পরে পুলিশ বা চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে সিফাতকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরবর্তীতে গত ১৯ এপ্রিল সিফাতের মা শিমু আক্তার বাদী হয়ে সিফাত হত্যা ও গুম করার অভিযোগে স্বামী, জ্যা, ২ ননদ, শ্বশুড় ও শ্বাশুড়িকে আসামী করে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত অফিসার ইনচার্জ বুড়িচংকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলে অফিসার ইনচার্জ বুড়িচং তদন্ত পূর্বক গত ১০ মে উপরোক্ত ৬ জনকে আসমী করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৪ তারিখ ১০/০৫/২০১৩ ইং, ধারা ৩২৩/৩০২/২০১/৩৪ দঃবিঃ । মামলা তদন্তের স্বার্থে থানার এস আই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী নাজমুল হক সিফাতের লাশ ময়না তদন্ত ও সুরত হাল রিপোর্ট তৈরীর জন্য বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে আজ মঙ্গল বার ১৪ মে দুপুরে পারিবারিক কবরস্থান থেকে সিফাতের লাশ বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ইউ এন ও মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খানের উপস্থিতে থানা পুলিশ উত্তোলন করবে। হত্যা মামলার আসামীরা হল , আজমিরী আক্তার (৩০), স্বামী -লিটন মিয়া, মামুন মিয়া (২৭), পিতা- সুলতান মিয়া, সুলতান মিয়া (৬৫) পিতা মৃত আলেফ খা, শিউলী আক্তার (৩০) ও বিউটি আক্তার (৩৫) উভয় পিতা সুলতান মিয়া এবং আমেনা খাতুন (৫৫) স্বামী সুলতান মিয়া উভয় সাং ছয়গরিয়া (ভরাসার) বুড়িচং, কুমিল্লা।