ঢাকা:–
রাজধানীর পল্টন এলাকায় হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় পুলিশের সংঘর্ষ হচ্ছে। পুলিশ শত শত রাউন্ড গুলি, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। এতে চারজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।
নিহত একজন সিদ্দিকুর রহমান (২৮)। তিনি হানিফ পরিবহণের হেলপার।অন্যজন দোকান কর্মচারী নাহিদ সিকদার (২১)। নাহিদের বাসা ২৭৪ জয়কালী মন্দির। তার বাবার নাম দেলোয়ার সিকদার। তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের পাতারহাট গ্রামে। অপর দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বেলা সাড়ে ১১টায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তখন পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এসময় হেফাজতের বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ফের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এসময় হেফাজত কর্মীরা ওই এলাকায় মিছিল করার চেষ্টা করছিলেন। এতে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
পুলিশ জানিয়েছে, হেফাজতের কর্মীরা লাঠি নিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে যেতে চায়। আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিক থেকেও লাঠি নিয়ে কর্মীরা বায়তুল মোকাররমের দিকে আসতে চাইলে দুই পক্ষকে বাধা দেয়া হয়। এতে হেফাজতের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়ান। হেফাজতকর্মীরা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে পুলিশ পল্টন মোড়ে অবস্থান করছে। তবে ওই এলাকায় হেফাজত কর্মীদের উপস্থিতি বাড়ায় পুলিশ পিছু হটছে। হেফাজতের কর্মীরা বায়তুল মোকাররমের উত্তরগেটে সীমানা প্রাচীরের মধ্যে রাখা দুটি মোটর সাইকেলে পুড়িয়ে দিয়েছে।
সন্ধ্যায়ও পল্টন-গুলিস্তান এলাকায় সংঘর্ষ চলতে দেখা যায়। এছাড়া বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা, নয়াপল্টন এলাকায়ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।