ঢাকা:–
সাভার ট্রাজেডির মূল হোতা রানা প্লাজার মালিক যুবলীগ নেতা সোহেল রানাকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল আহসানের নেতৃত্বে একটি দল রোববার বেলা তিনটার দিকে রানাকে বেনাপোল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করে এবং হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়েছে।
যশোর র্যাব-৬ এর মেজর জাহিদ সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা বেলা তিনটার দিকে মনিরুজ্জামানের বাসায় অভিযান চালান। এ সময় বাসার ভাড়াটিয়া সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী শাহ আলম মিঠুর রুম থেকে রানাকে আটক করা হয়। পরে ভাড়াটিয়া মিঠুসহ সোহেল রানাকে আটক করে যশোর নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
অপরদিকে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে গ্রেফতারের খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গেই তার ফাঁসির দাবিতে উত্তেজিত হয়ে উঠে ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতা ও স্বেচ্ছাসেবকরা। স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার এসপি হাবিবুর রহমান এবং র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অস্থায়ী ক্যাম্পে বৈঠকের পর রানাকে গ্রেফতারের ঘোষণা দেন।
এই ঘোষণার পরপরই স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার কাজ বন্ধ রেখে রানার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। প্রায় দশ মিনিট পর তাদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে উদ্ধার কাজে ফেরত যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। প্রায় একই সময় সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষের ঢল নেমে আসে রানা প্লাজার আশপাশে।
একই সঙ্গে ভবন ধসে নিখোঁজ ও নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরাও রানার ফাঁসির দাবিতে পৃথক তিনটি মিছিল নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মিছিল করে।
পরে বিক্ষুব্ধ জনতা ও নিহতদের স্বজনদের বিক্ষোভ প্রতিহত করে পুলিশ ও র্যাব তাদের সরিয়ে দেয়।
গত বুধবার সকালে সাভারে বহুতল ভবন রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে রোববার পর্যন্ত ৩৬৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪৮ জনের লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য লাশগুলো হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২ হাজার ৪শ’ ৮৯ জনকে।