আরিফুল ইসলাম সুমন:–
সর্বধর্ম সমন্বয়ের সাধক ও প্রচারক এবং উপমহাদেশ খ্যাত সঙ্গীত সাধক ও রচয়িতা মহারাজ আনন্দ স্বামীর ১৮২তম জন্ম বার্ষিকী উৎসব গত বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মহারাজের সমাধিস্থল উপজেলার কালীকচ্ছে রাতব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আসা হাজারো ভক্ত অংশ নেন। এসময় বিশ্ব শান্তির জন্য বিশেষ উপাসনা, আলোচনা সভা ও মলয়া সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
জানা গেছে, মহারাজ আনন্দ স্বামী ১২৩৯ বঙ্গাব্দে সরাইল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কালীকচ্ছ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মুন্সী শ্রী রাম দুলাল নন্দী। উপমহাদেশে মহারাজ আনন্দ স্বামীর পাঁচ লাখেরও বেশি ভক্ত রয়েছে। তিনি উর্দু, হিন্দি ও সংস্কৃতি ভাষাতেও সঙ্গীত রচনা করেছেন। তাঁর ইসলামিক সঙ্গীতসমূহ অপূর্ব ভাবধারায় গ্রথিত। মলয়ার সাধক কবি মহর্ষি মনোমোহন দত্ত তাঁর শক্তিপ্রাপ্ত শিষ্য। মহারাজ আনন্দ স্বামীর একমাত্র সন্তান বাংলার টলস্টয় নামে খ্যাত সাধক প্রবর ডা. মহেন্দ্র চন্দ্র নন্দী এবং তাঁরই দৌহিত্র স্বদেশী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ মহা বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত ওরফে অভিরাম।
এদিকে সর্বধর্ম অবতার মহারাজের জন্ম উৎসবের অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রিয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও সরাইলের কালীকচ্ছ গ্রামের কৃতি সন্তান ড. কালীপদ সেন।
আনন্দধামের সভাপতি ডা. অনিল দাস গুপ্ত এর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজাদ ছাল্ল¬াল, সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে মহারাজের ভক্তবৃন্দসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন, বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে হবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ নানা সঙ্কটে রয়েছে। দেশের প্রধান দুই নেত্রীকে আলোচনার মাধ্যমে এই সঙ্কট উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি আহবান জানান।
