সৈয়দ আহাম্মদ লাভলুঃ–
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি সাহেবের বাজারে গৌরাঙ্গ সাহা নামের নিঃসন্তান এক ব্যবসায়ীর গলায় ফাঁস দিয়ে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ময়নামতি ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের নিজ ঘরে মুখে গামছা পেছিয়ে গলায় রশি বেধে ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলে রহস্যজনক ভাবে সে আত্মহত্যা করে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি সাহেবের বাজারে মা-মনি স্টেশনারী ষ্টোরের ব্যবসায়ী এবং ময়নামতি ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মৃত ফপুল্ল সাহার নিঃসন্তান পুত্র গৌরাঙ্গ সাহা গত ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার গভীর রাতে মুখে গামছা পেছিয়ে গলায় রশি বেধে ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। সকালে ঘুম থেকে ওঠে গৌরাঙ্গ সাহার মা ছবি রানী সাহা দরজা ধাক্কাধাক্কি করে। এ সময় তার বড় ভাই অরুণ সাহা সহ বাড়ির লোকজনরা এসে দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে দেখে গৌরাঙ্গ সাহার মৃত দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। এদিকে এ আত্মহত্যার ব্যাপারে গৌরাঙ্গ সাহার মা ছবি রানী সাহা বলেন গত ২/৩ দিন ধরে গৌরাঙ্গ সাহার স্ত্রী প্রিয়াংকা রানী সাহার স্বাস্থ্যগত সমস্যা হত্তয়ার কারনে হিন্দুরীতি অনুযায়ী শ্বাশুড়ী সাথে ঘরে রাত্রি যাপন করছে। এদিকে গৌরাঙ্গ সাহার মা ও স্ত্রী প্রিয়াংকা রানী সাহা এবং লোকজন জানায় তাঁর সাথে বাড়ির কোন লোকে বিরোধ ছিল না। এমন কি তাঁর স্ত্রীর সাথেও ঝগড়াÑবিবাধ হয় নি। এদিকে গৌরাঙ্গ সাহার বড় ভাই অরুণ সাহা জানায় ময়নামতি সাহেবের বাজারের ব্যবসায়ী তাঁর ছোট ভাই ফটিক সাহা বিগত ২০০৮ ইং সনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রায়পুর গ্রামের একটি ব্রীজের র্যালির সাথে রশি দিয়ে ঝুলে রহস্যজনক ভাবে আত্মহত্যা করে। মৃত্যুকালীন ফটিক সাহা নিঃসন্তান ছিল। মৃত্যুর পর ফটিক সাহার স্ত্রীর প্রিয়াংকা রানী সাহাকে তাঁর দেবর গৌরাঙ্গ সাহার সাথে ৪ বৎসর আগে জোর পূর্বক বিয়ে দেত্তয়া হয়। বিয়ের পর থেকে গৌরাঙ্গ সাহা নিঃসন্তান ছিল। তাঁর এ আত্মহত্যার ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় মানুষের মাঝে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে। এ রহস্য কেউ উৎঘাটন করতে পারে নি। এ দিকে বুড়িচং থানার দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মুজিবুর রহমান খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে। এ ব্যাপারে বুড়িচং থানায় একটি অপমৃত্যের মামলা দায়ের করা হয়েছে।