শাহিন জামান, বরুড়া (কুমিল্লা) থেকে:–
কুমিল্লার বরুড়া সরকারী নিয়মনিতীর তোয়াক্কা না করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ প্রায় প্রতিটি ডাক্তারই উপজেলা সদরে অবস্থিত প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিক বলে জানা গেছে। এতে করে ডাক্তাররা রুগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার পরিবর্তে নিজেদের মালিকানাধীন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে বাদ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে উপজেলার প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মো: আবুল হাছানাত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পাশে অবস্থিত মেডিকেয়ার হসপিটালের একজন মালিক। তিনি প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপেক্সে রুগী কম দেখে থাকলেও তার হসপিটালের সামনের চেম্বারে নিয়মিত রুগী দেখেন। এদেও আবার তার মালিকানা হসপিটালে নানাবিদ পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। রুগীরা ওই সব পরীক্ষা অন্য হসপিটালে করালে তা হয়নি বলে আবার করতে বলেন। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আর এম ও ( আবাসিক ডাক্তার) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন পাশ্ববর্তী ফেয়ার হসপিটালের মালিক। তার বিরুদ্বে অভিযোগের অন্ত নেই। তার ভুল চিকিৎসায় অনেক রুগী মৃত্যুর পথ থেকে ফিরে এসেছেন। এ নিয়ে একাধীক মামলাও হয়েছে। এছাড়া তিনি মাদকাসক্ত হয়ে ও স্ত্রীর সাথে সারাক্ষন মারামারি, কওে রুগীদের সাথে খারাপ আচরন করার অভিযোগে কয়েকবার লান্ছিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তার রুগীরা তার পচস্দের ঔষধ কিনতে হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া ডাক্তার মাহবুবুল আলম, ডাক্তার রুহুল আমিন, ডাক্তার দিলরুবা আক্তার স্বপনা এ্যপোলো হাসপাতালের মালিক হওয়ায় তারাও রুগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার পরিবর্তে নিজেদের মালিকানাধীন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে বাদ্য করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, এসকল ডাক্তাররা নিজের পরিবর্তে সন্তান, মা- বাবা অথবা স্ত্রীর নামে হাসপাতালের মালিকানার সেয়ার ক্রয় করে নিয়েছেন। এতে করে সরকারের নিয়মনিতীর যেমন তোয়াক্কা করছেনা, তেমনি করে সরকারের রাজস্বও ফাকি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন আর সেবা পাওয়া যায়না। ডাক্তাররা তাদের মালিকানা হাসপপাতালে যেতে বলেন। আবার তাদের হাসপাতালে অধিক মূলেল্য পরীক্ষা না করালেও সঠিক চিকিৎসা হয়ননা।
