মিজানুর রহমান সরকার, ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধিঃ–
সাবেক আইন মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডঃ আবদুল মতিন খসরু এমপি বলেন, আমার প্রথম পরিচয় আমি একজন মুসলমান। প্রথম মানুষ তার আপন আপন বিশ্বাস, ধর্মীয় আদর্শ চেতনা লালন করার মৌলিক অধিকার সংরক্ষন করে। অন্য নাগরিককে ধর্মীয় বিশ্বাসে অবজ্ঞা, উপেক্ষা ও আঘাত করা দণ্ডনীয় অপরাধ। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথা মহাজোট সরকার প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় আদর্শ ও চেতনা লালন করার অধিকারকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু ধর্মকে অপব্যবহার করে যারা নিরস্ত্র নিরপরাধ বাঙ্গালীদের নির্বিচারে খুন করেছে তারা আল্লাহ এবং তার প্রিয় রাসুল তথা ইসলামের বিরুদ্ধে অপরাধই শুধু করেনি, ইসলামের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করেছে। তাদের বিচার না হলে খুন ধর্ষনের মত অপরাধ আরও উৎসাহিত হবে। তাই সভ্যতা ও আইনের সাশনের স্বার্থে ৭১এর যুদ্ধাপরাধীদের চুড়ান্ত শাস্তি আজ গনদাবীতে পরিণত হয়েছে। প্রধান অতিথি ৬ এপ্রিল ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার আবদুর রাজ্জাক খান চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের পুন:র্মিলণী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সমাজ সেবক উক্ত স্কুলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, শাহবাগ চত্তরের নতুন প্রজন্মের যুবকরা আমাদের হারিয়ে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তথা বাঙ্গালীর জাতীয় চেতনা পূনরুদ্ধারের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করছে । আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই । শাহবাগের ব্লগাররা সবাই নাস্তিক নয়, কিন্তুু ব্লগারদের মধ্যে যারা নাস্তিকতা বিশ্বাসী এবং ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্রুপ করে তাদের সঙ্গে আওয়ামীলীগের কোন সম্পর্ক নেই। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা কেউ আইনের উর্ধ্বে নই। ভাল কাজ করলে যেমন সম্মান পাওয়া যায়, খারাপ কাজ করলে তার শাস্তি অনিবার্য। এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী, ব্যরিষ্টার সোহরাব খান চৌধুরী, বুড়িচং সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ আবু সালেহ সেলিম রেজা সৌরভ, ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ উত্তম কুমার বড়–য়া, উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক সামছুদ্দিন, পরিচালনা করেন আমজাদ হোসেন মেম্বার, নূসরাত সুলতানা রুনা, বক্তব্য রাখেন পলাশ দেব, মমিনুল ইসলাম সরকার, জহিরুল ইসলাম, শাকিল আহম্মেদ, গোলাম বিকরিয়া, ইস্কান্দার খান চৌধুরী প্রমুখ।
