শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে উৎকন্ঠা রয়েছে। প্রতিটি দল যখন নির্বাচনে যায় তখন তাদরে প্রতিশুতির ফুল জুড়িতে মানুষ মুগ্ধ থাকে। তখন রাজনৈতিক দলগুলো এমন আচররণ করে যে মায়ের পেটের এক ভাই। আর নির্বাচন শেষে আর জনসাধারণের কথা মনওে রাখে না। যে দলই ক্ষমতায় থাকে সেই দলই তাদের শক্তি আরো বেশী বাড়ানো জন্য আরেক বার ক্ষমতায় আশার জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে। যার খেশারত দিতে হয় সাধারণ জনগণকে। গণতান্ত্রিক দেশে ক্ষমতা লাভের প্রধান মাধ্যম হলো নির্বাচন। কোন পন্থা অবলম্বন করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। দেশে বর্তমান রাজনীতি এক জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে বাড়ছে অস্থিরতা এবং অস্থিতিশীলতা। এ অবস্থা থেকে জাতি মুক্ত হতে চায়। তার জন্য দেশের সাধারণ মানুষ, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী নেত্যবৃন্দ, দাতাগোষ্ঠী এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে যত দ্রুত সম্ভব বিরোধী দলের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন কালীন সরকার নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসা। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে ইতিবাচক সংলাপ প্রয়োজন। দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকায় গণতন্ত্র চর্চা সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলা বন্ধ করে অবিলম্বে প্রধান রাজনৈতিক দলসমূহকে আলোচনার টেবিলে বসে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের পথ বের করার জোর আবেদন জানাচ্ছি। আমি আশা করি একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের। এটা তখনই পূর্ণতা পাবে যখন আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দল তাদের লাভের কথা চিন্তা না করে দেশের জন্য চিন্তা করবে; যদি দেশকে মনে-প্রাণে ভালোবাসে, যদি জনগণকে কিছু দেয়ার ইচ্ছে থাকে ঠিক তখনই শান্তি ফিরে আসবে, আর সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বর্তমান সরকার এ সমস্ত পদে কি নিরপেক্ষ লোকদের বসাতে পারছে? অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে এসব পদে বিভিন্ন সময় পদোন্নতির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাছাড়া নির্বাচন কিভাবে নিরপেক্ষ করা যায় এ ধরনের কোন কার্যকরী আলোচনা দেশের সকল রাজনৈতিক দলের সাথে নির্বাচন কমিশনের হয়েছে কিনা তা ভেবে দেখার বিষয়। সরকার বলছে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে না। যদিও দেশের প্রধান বিরোধী দল জোর দাবি তুলছে সেনাবাহিনী মোতায়েনের । কিন্তু কেন সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে না এ নিয়ে জনমনে সন্দেহ রয়েছে। সেনাবাহিনী নিয়োগ করলে কি নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নষ্ট হবে ? সেনাবাহিনীর প্রতি সাধারণ জনগণের আস্থা এখনো যতটা বেশি তার কিঞ্চিৎ পরিমাণ পুলিশ কিংবা র্যাবের প্রতি নেই। তবে কেন সেনাবহিনী মোতায়েন করা হবে না? এ প্রশ্নটি সৃষ্টির মাধ্যমে কি নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়নি? তাই আমি মনে করি, বাংলাদেশে শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের দ্বারা জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা এখনো কম। সকল দলের সাথে আলোচনা করে নির্বাচনের সুষ্ট পরিবেশ তৈরী সরকারের নিকট সকলের কাম্য। নতুবা মানুষের মনের উৎকন্ঠা শেষ হবে না। আতঙ্ক বিরাজ করছে নির্বাচন নিয়ে।
লেখকঃ আবদুর রহমান, শিক্ষার্থী
m.a.rahman33@gmail.com
মেনেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ(এমবিএ), ফাস্ট ব্যাচ
কুমিললা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিললা।
এখানে প্রকাশিত সব মতামত লেখকের ব্যক্তিগত, কুমিল্লাওয়েব ডটকম’র সম্পাদকীয় নীতির আওতাভুক্ত নয়।