দেবিদ্বার প্রতিনিধিঃ—
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন দেবিদ্বার জোনাল অফিসে কর্মরত ওয়ারিং পরিদর্শক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বিভিন্নভাবে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দেবিদ্বার উপজেলার কোটনা (নোয়াবগঞ্জ) গ্রামের মৃত হাজী জুলফিকার আলীর ছেলে মো: নজরুল ইসলাম কর্তৃক পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ার্যান, জেনারেল ম্যানেজার পবিস-১, দেবিদ্বার জোনাল অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে দাখিলকৃত লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিশেষ বরাদ্দে দেবিদ্বার উপজেলা ফতেহাবাদ ইউনিয়নের কোটনা ও পূর্ব ফতেহাবাদ এলাকায় প্রায় ৬ কি:মি: বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু ওই এলাকায় ওয়ারিং করার সময় ৮৩টি গ্রাইডিং রডের জন্য ওয়ারিং পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে অতিরিক্ত সাড়ে ৬ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। এদিকে কোটনা গ্রামের প্রায় ৩ শতাধিক ঘরের ওয়ারিং সম্পন্ন করার পরও মিজানুর রহমান বর্তমানে রিপোর্ট প্রদানের জন্য গ্রামবাসীর নিকট আরো ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেছে। এ নিয়ে গ্রামবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে ওই ওয়ারিং পরিদর্শক মিজানুর রহমান জেলার বরুড়ায় দায়িত্ব পালনকালেও অনুরুপ ভাবে গ্রাহকদের হয়রানীতে লিপ্ত ছিল। বর্তমানে দেবিদ্বার এলাকায় সে প্রতিটি রি-ওয়ারিং রিপোর্টে ২০০ টাকা,প্রতিটি অগভীর নলকূপের জন্য ৫০০ টাকা, প্রতিটি এলএলপি’র জন্য ১ হাজার টাকা, প্রতিটি পুন: সংযোগ দিতে ১ হাজার টাকা গ্রাহকদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। স্থানীয় গ্রাহকরা এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ওই ওয়ারিং পরিদর্শকের অন্যত্র বদলীসহ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনগত পদক্ষেপ দাবি করেছেন। এ বিষয়ে দেবিদ্বার জোনাল অফিসের ডিজিএম নীল মাধব বনিক জানান, ওয়ারিং পরদির্শক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে যে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Check Also
নিউইয়র্কের চিকিৎসক ফেরদৌস খন্দকারে দেওয়া খাদ্য পাচ্ছে দেবিদ্বারের ১ হাজার পরিবার
দেবিদ্বার প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারনে কর্ম হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে দেশের হাজার হাজার ...