শামসুজ্জামান ডলার, মতলব উত্তর থেকেঃ—
বিএনপি’র কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ডঃ জালাল উদ্দিন বলেন, গত শুক্রবার নারায়নগঞ্জের গজারিয়ায় বালুবাহী বলগেটের ধাক্কায় এমএল সারস নামক লঞ্চটি ডুবার সংবাদ পেয়ে আমি তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটেযাই। কেননা, ঐ লঞ্চলের অধিকাংশ মানুষরাই ছিলেন আমার মতলবের মানুষ। উদ্ধার কাজ দ্রুত করার জন্য আমি ওখানকার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলি। আজ আপনাদের পাশে এসে দাড়িয়েছি আপনাদের দুঃখ ভাগ করে নেয়ার জন্য। কেননা, লঞ্চডুবিতে যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছে তাদের সান্তনা দেবার কোন ভাষা নেই। তবে ভাই-বোন ও বাবা-মা হারিয়ে যে পরিবারের অন্য ৩ ভাই-বোন বেঁচে আছে আবুর হাসেম ভাইয়ের সেই ৩ ছেলে-মেয়ের পাশে আপনারা থাকবেন। ইনশাআল্লাহ আমিও আছি এবং ওদের লেখা-পড়ার জন্য আমি আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই ১ লক্ষ টাকা পাঠিয়েদেবো।
গতকাল রবিবার বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলার সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের মুক্তিরকান্দি গ্রামে লঞ্চডুবিতে নিহত আবুর হাসেম প্রধানের বাড়ীতে গ্রমবাসীর উপস্থিতিতে তিনি একথাগুলো বলেছেন। পরে আলহাজ্ব ড. জালাল উদ্দিন নিহত আবুল হাসেমের তিন সন্তান পলি ,মিলন ও খোকনসহ পরিবারের অন্যাণ্য সদস্যদের খোঁজখবর নেন এবং তাদের প্রতি সমবেদনা জানান।
এর আগে তিনি লঞ্চডুবিতে নিহত আবুল হাসেম প্রধানের কন্যা হাবিবা আক্তার মনি(১৭) ও ২ বছরের পুত্র প্রিন্স এর কবর জিয়ারত করেন।
আলহাজ্ব ড. জালাল উদ্দিনের সাথে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য নূরুল হক জিতু, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আহসানুল হক ফটিক, বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান স্বপন, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারন সম্পাদক তোফায়েল পাটোয়ারী, আলহাজ্ব ড. জালাল উদ্দিনের ছেলে আলহাজ্ব ডাঃ সৈয়দ মোঃ রিজভী, বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এমএল সারস লঞ্চ ডুবিতে একই পরিবারের আবুল হাশেম (৫০) ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম (৪০) , তাদের দু’সন্তান হাবিবা আক্তার মণি (১৭) ও প্রিন্স (২) প্রানহানি ঘটে। হাবিবা আক্তার মণি (১৭) ও প্রিন্স (২) লাশ উদ্ধারের পর দাফন করা হয়েছে। তবে আবুল হাশেম প্রধান (৫০) ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম (৪০) এখনও নিখোঁজ রয়েছে।