শামসুজ্জামান ডলারঃ—
নারায়নগঞ্জের গজারিয়ায় এমএল সারস লঞ্চডুবিতে এ পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া ১৪ লাশের ১৩টি লাশই মতলব উত্তর উপজেলার। ইতিমধ্যে শনিবার বেলা ২ টার মধ্যে উদ্ধারকৃত ১৩ লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আগে একই পরিবারের ৭ জনের মধ্যে ময়না(২৫) এর লাশ মতলব উত্তর উপজেলার চান্দ্রাকান্দিতে এবং একই পরিবারের ৪ জনের মধ্যে ১৮ মাসের প্রিন্সের লাশ মতলব উত্তর উপজেলার মুক্তিরকান্দিতে দাফন করা হয়।
একই পরিবারের ৭ লাশের বাকী ৫ লাশ উদ্ধার হলেও এখনো শাহনাজ (১৮) এর লাশ উদ্ধার হয়নি। আর ওই পরিবারের বাকীদের মধ্যে তানিয়া আক্তার(১৬), মিথিলা আক্তার (১৩), মীম(৮), শানজী(৬) ও চায়না আক্তার(৩০) এর লাশ গতকাল শনিবার সকাল ১২টার দিকে উপজেলার চান্দ্রাকান্দিতে দাফন করা হলেও চায়নার স্বামী মুক্তার হোসেন(৩৫) এর লাশ তার নিজ বাড়ী নারায়নগঞ্জের তল্লায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। উপজেলার মুক্তিরকান্দির একই পরিবারের ৪ লাশের মধ্যে গত শুক্রবার প্রিন্সের লাশ দাফন করা হলেও গতকাল সকাল ১১ টার দিকে প্রিন্সের বোন হাবিবা আক্তার মনি(১৭) এর লাশ দাফন করা হয়। ছেংগারচর ডিগ্রী কলেজের ছাত্রীর জানাজায় কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষার্থীরা তার জানাজায় অসলে সকলের কান্নায় যেনো ওখাকার আকাশ-বাতাশ ভারী হয়ে উঠে। এমনকি শতশত শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও স্বজনদের কান্না দেখে তখন মনেহয়েছে ওখানকার প্রকৃতিও যেনো কাঁদছিলো। শিশু ছেলে প্রিন্স ও তার বোন মনি’র লাশ দাফন হলেও এখনো ওদের বাবা আবুল হাসেম প্রধান(৪৫) ও মা শেফালী আক্তার(৩৫) এর লাশ এখনো পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও শনিবার সকাল ৯ টায় উপজেলার রায়েরকান্দিতে শাহ জালাল(২৯), সকাল ১০ টায় ব্রা¤œনচক গ্রামে সুমন(১৮), ১১টায় সোবাইরকান্দি গ্রামে মোবারক ব্যাপারীর মেয়ে হেলেনা(১৮), সকাল ১২ টায় চান্দ্রাকান্দিতে উপজেলার কালিপুর স্কুল এন্ড কলেজের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মজিবুর রহমান(৪৫), বাদ জোহর বালুরচর গ্রামের হাজেরা আক্তার বেবী(৪৫) এর লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়।
লাশগুলো পর্যায়ক্রমে মতলব উত্তর উপজেরার নিজনিজ বাড়ী এসে পৌঁছলে স্বজনদের আহাজারীতে চারদিকের বাতাস যেনো ভ্রাী হয়ে আসে। তাদের এ কান্ন যেনো শেষ হবার নয়। উদ্ধারকৃত ১৩ লাশের দাফন সমাপন্ন হলেও খোজখবর নিয়ে জানা যায়, এখনো বেশক’টি লাশ নিখোঁজ রয়েছে।