নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা)/ ৩০ ডিসেম্বর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)——
জেকে বসা ঘন কুয়াশা ও শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট বাসীর জনজীবন। সন্ধ্যা নামার আগেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় জেলার প্রতিটি জনপথ। এতে সড়ক ও মহাসড়কে যান চলাচলে ঘটছে মারাত্মক ব্যাঘাত। বিশেষ করে গত কয়েকদিনের তীব্র শীতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় নেমে এসেছে স্থবিরতা। কারণ কনকনে শীতে মানুষের রোগবালাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে শীতের বেশিরভাগ প্রভাব পড়ছে বয়স্ক ও শিশুদের উপর। শনিবার নাঙ্গলকোটে কনকনে শীতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণির লোকজনের মাঝে দেখা ছিয়েছে সর্দি, কাশি সহ নানা রোগ। তবে শীতের মোকাবেলায় মানুষের সামর্থ্য তেমনটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে দেখা গেছে ছিন্নমূল ও শ্রমজীবি মানুষ শীতের প্রকোপে ঠিকভাকে কাজ করতে পারছে না। হাড়কাপানো শীতে গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের ”েষ্টা করছে। কেনাকাটার জন্য সর্বত্রই শীতের কাপড় দোকানগুলোতে লক্ষ্য করা গেছে প্রচন্ড ভীড়। সামর্থ্য অনুযায়ী সবাই নিজেদের স্বজনদেরকে শীতের পোশাক কিনে দিচ্ছে। এদিকে নিু ও মধ্যবৃত্তদের একমাত্র অবলম্বন ফুটপাতে দোকানগুলোতে শীত প্রচুর শীত কাপড় কেনা বেচা হচ্ছে। নাঙ্গলকোট পৌরবাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার গুলোতে বর্তমানে শীতবস্ত্রের দোকানে সয়লাব হয়ে পড়েছে। সর্বত্রই একই চিত্র সবাই যেন শীতের হামলায় পড়েছে। কয়েকজন মানুষ একসাথে হলেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে। নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে বহু মানুষ শীতে কাবু হয়ে খোলা আকাশের নীচে জীবন-যাপন করছে। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও জেকে বসা শীতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপন মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা প্রত্যন্ত অঞ্চলে কুয়াশাছন্নতার কারণে মানুষ নানা রকম রোগ জীবাণু আক্রমণ হচ্ছে। নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ লেয়াকত আলী বলেন, এসময় ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি-কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তিনি এব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন।
মোঃ আলাউদ্দিন
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) থেকে