মালয়েশিয়া / ২৮ ডিসেম্বর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)——
কেউ শুনেনা কারও কথা যেন অবিভাবক হীন মালয়েশিয়া আওয়ামিলীগ, মালয়েশিয়া আওয়ামীলীগের ভিতরে বাহিরে চলছে অন্তদ্বন্দ্ব। আর এ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রুপ নিলেও ডিজিটাল যুগে তারা বেশ কৌশলী অবস্হান নিয়েছেন । কেউ বা প্রকাশ্যে,আবার কেউ কেউ ভেতরে ভেতরে ঠান্ডা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘ দিন ধরে চলছে দলের ভিতরে এ লড়াই। তবে এ অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে অনেকে ঝরে যেতে পারেন ঐতর্জ্যবাহী এ পুরনো দল থেকে। আওয়ামীলীগের কিছু সংখ্যক নেতা দ্বীধা বিভক্তির বিষয়টি স্বীকার করতে নারাজ। তারা যেন এটা অস্বীকার করার সম্মিলিত সিদ্বান্ত নিয়েই রেখেছেন। তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে সব কিছু বলে গেলেও প্রকাশ্যে বলেন না। তাদের মাঝে কোন ঠান্ডা লড়াই নেই, আমরা তো সব এক আছি। সাংবাদিকরা মনে হয় ভূল শুনেছেন। এটা মনে হয় কোনো মহলের ষড়যন্ত্রের অংশ। মালয়েশিয়া আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের অনেকে অকপটে বলে যান, নেতৃত্ব এবং ক্ষমতার লোভই তাদের বিভক্ত করেছে। আমরা ঠিক হয়ে গেলে কর্মী এবং অঙ্গ সংগঠনে বিভক্তি থাকবে না। তবে কেউ কেউ অবশ্য বলেন, এটা গ্রুপিং নয়, বড় দলে কিছু মতদ্বৈধতা থাকাতো স্বাভাবিক ঘটনা। বিভক্তির বিষয়টি মূলত নেতৃত্ব পর্যাায়ের। দলের বিভক্তির বিষয়টি অনুসন্বানে জানাযায়, মূলত: আওয়ামীলীগের কমিটি কেন্দ্র থেকে কোন অনুমোদন না থাকলেও আলমগীর হোসেনকে সভাপতি ও রেজাউল করিমকে সাধারন সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ২০১০ সালে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা মালয়েশিয়া আসলে ওই কমিটির তত্বাবধানে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়। সংবর্ধনা অনুষ্টানে মালয়েশিয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে এ.কে.এম.আলমগীর হোসেন সভাপতিত্ব করেন । এর পর থেকে ওই কমিটিই আওয়ামিলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হিসেবে আওয়ামী নেতৃবৃন্দ চালিয়ে যাচ্ছেন। দলীয় সূএে জানাগেছে, মালয়েশিয়া আওয়ামীলীগের প্রতিষ্টাতা সভাপতি ছিলেন ড: হাসান মাহমুদ। তৎকালীন দলের দুর্দিনের কান্ডারি ছিলেন তিনি । তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় আওয়ামী রাজনীতি চলছিল। বর্তমান সময়ে আলমগীর হোসেন ও রেজাউল করিম দেশে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। সম্প্রতি আলমগীর হোসেনকে আওয়ামী যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য করায় সভাপতি পদে আর থাকছেন না। আর সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা কয়েকদিন হয় দেশ থেকে মালয়েশিয়া যাবার পরপরই সবাইকে ডেকে মিটিং করেন এ যেন দলের মাঝে প্রাণ ফিরে পায়। মালয়েশিয়ায় মন্ত্রী মহোদয়ের কোন প্রোগ্রাম থাকলেই ছুটে যান সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা। আলমগীর এবং রেজা দেশে অবস্তান করলে দলের হাল ধরেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল,সহ-সভাপতি অহিদুর রহমান, সহ-সভাপতি আব্দুল করিম, যুগ্ন সম্পাদক রাশেদ বাদল ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন সরদার। তার পরেও যেন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগটনের নেতা-কর্মীদের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে বলে দলের একাংশের নেতা কর্মীরা মনে করছেন। এমনকি দলের অভ্যন্তরীন নেতৃত্ব নিয়ে চলছে ঠান্ডা লড়াই। সভাপতি আলমগীরকে আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহি সদস্য করায় মালয়েশিয়ার সভাপতি পদটি পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন অনেকে। কে পাচ্ছেন সভাপতি পদটি। এ নিয়ে অনেকবার বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে। ওই সব বর্ধিত সভায় অপর অংশের সিনিয়র সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন উপস্তিত হলেও ও পহ্মের কাউকে দেখা যায়নি। গত ১৬ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন বাংলাদেশ দুতাবাসে শহীদ মিনারে পুস্পস্তপক অর্পনের পরে হাই কমিশন কর্তৃক বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় জসিম ও কামরুজ্জামান কামরুলের গ্র“পের কেউই উপস্তিত ছিলেননা। এর পর থেকে দুই ভাগে ভিবক্ত হয়ে বিজয় দিবস পালন করেছেন তারা। আলমগীর রেজা গ্রোপ সাইদ বিষ্ট্র হোটেলের হল রুমে এবং জসিম কামরুজ্জামান গ্রোপ হোটেল ফার্ষ্ট বিজনেস ইন এ পৃথক পৃথক ভাবে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা করেন। সাইদ বিষ্ট্রতে আলোচনা সভায় উপস্হিত— ছিলেন, প্রফেসর ড: নূরুল আমিন, সহ সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল,সহ সভাপতি অহিদুর রহমান অহিদ, সহ সভাপতি হাজী মো: জাকারিয়া, সহ-সভাপতি আব্দুল করিম, মুক্তিযোদ্বা শওকত হোসেন পান্না,সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রাশেদ বাদল, সাংগটনিক সম্পাদক শাহিন সরদার, হুমায়ন কবীর, বীর মুক্তিযুদ্ধা শওকত হোসেন পান্না আলোচনা সভা শেষে নতুন সদস্য সংগ্রহে ফরম বিতরন করেন তারা। অন্য দিকে জসিম চৌধুরী ও কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে হোটেল ফার্ষ্ট বিজনেস ইনে অনুষ্টিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় উপস্হিত ছিলেন, প্রফেসর ড: ইমদাদুল হক, আবু হানিফ, বিল্লাল হোসেন,মালয়েশিয়া মুক্তিযোদ্বা কমান্ড ইউনিটের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন মজনু, শফিকুর রহমান শফিক, মনিরুজ্জামান মনির , আলমগীর হোসেন ব্লাক, ছাএ নেতা ইসমাইল কবীর, মোসলিম উদ্দিন, জাকির হোসেন সহ আরো অনেকে। ওই দিনই জসিম উদ্দিন চৌধুরীকে আহবায়ক ও মনিরুজ্জামানকে সদস্য সচিব করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট অহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে তাৎক্কণিক সাংবাদিক সম্মেলনে জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কামরুজ্জামান কামাল, প্রফেসর ড: এ.কে.এম ইমদাদুল হক বলেন, যারা মুজিবীয় আদর্শ থেকে সরে রয়েছে তাদের সঙ্গে আদর্শিক রাজনীতি করা যায়না। আমরা মুজিবীয় আদর্শের রাজনীতি করি বিধায় আমাদের পথ আলাদা। মালয়েশিয়ায় যারা স্তায়ী ভাবে বসবাস করছে তারাই আওয়ামী রাজনীতি করবে। ভাড়াটিয়া দ্বারা আওয়ামী রাজণীতি চলেনা। এমনকি হাই কমিশনের দালালদের সাথে আমাদের আপোষ নেই আপোষের প্রশ্নই উঠেনা। এদিকে মূল দলের সভাপতি সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোনে তাকে না পাওয়াতে সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন, অহিদুর রহমান, আব্দুল করিম, সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, রাশেদ বাদল ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন সর্দার এর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের মাঝে কোন বিভেদ গ্র“পিং নেই। তবে কিছু অপপ্রচার আছে। যারা হাই কমিশনে দালালী করার সুযোগ ও ৬পি প্রোগামে দুর্নিতি করতে পারে নাই বলে পার্টির বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে যখন আমাদের সরকার স্বাধীনতা বিরোধী ও যোদ্ধাঅপরাধিদের বিচার কার্জসম্পূর্ণ করতে বিভিন্ন বাধাবিগ্ন অতিক্রম করছে তখনই একশ্রেণীর জাতিয়তাবাদী আওয়ামিলীগ নামদারি ও সুবিধাবাদী গুটি কয়েক নেতা দলে বিব্রান্তি সৃষ্টি করছে তাদের বিরোদ্ধে আমরা মালয়েশিয়া আওয়ামিলীগ এর সকল নেতাকর্মিকে সর্তক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে । নেতারা যাই বলুননা কেন, মলিয়েশিয়ায় অবস্তানরত বাংলাদেশী প্রবাসীরা কিন্তুু দলের গ্রুপিং ও ঠান্ডা লড়াই নিয়ে বেশ চিন্তিত। পর্যটন শহর মালয়েশিয়া নিরবচ্ছিন্ন শান্তির স্বার্থে তারা চান এসবের অবসান। এদিকে মালয়েশিয়ায় অবস্তান রত ৯০ দশকের কিছু ছাএ নেতা হ্মোভের সাথে এ প্রতিবেদককে বলেন, কিছু কিছু নেতা আছেন দলের নেতৃত্বে আসতে চান নিজেদের কতৃত্ব জাহির করতে। তাদের দেশের প্রতি দেশের জনগণের প্রতি কোন ধরদ নেই। তারা সাধারন প্রবাসীদের চুষে খাওয়ার জন্য নেতা সাজেন। আর যাদের দেশের প্রতি দেশের জনগনের প্রতি নাড়ির টান রয়েছে তাদেরকে তারা সাধুবাদ জানান নেতৃত্বেও চেয়ারে বসতে। কারণ মালয়েশিয়ায় প্রায় সাড়ে আট লাখ বাঙ্গালীর বসবাস রাজনীতির পাশাপাশি তাদের সুেখ দু:খে কাদেকাঁদ মিলিয়ে সুষ্টু ধারার রাজনীতির ফ্লাট ফর্ম তৈরি করার আহবান জানান এবং প্রতিবেদকে ফোনে মালয়েশিয়া আওয়ামিলীগ এর কয়েকজন প্রবাসী নেতাকর্মী নাম না প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন হাইকমিশনের দালাল নামদারী কেউ যেন ঐতিজ্যবাহী এ রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে আসতে না পারে ।
এম.আমজাদ চৌধুরী রুনু, মালয়েশিয়া থেকেঃ